মিলিনিয়াম সিটি ও শতরূপা হাউজিংয়ের স্থাপনা গুড়িয়ে দিলো রাজউক
জলাধার আইন ভঙ্গ করে নিচু এলাকায় আবাসন গড়ে তোলায় মিলিনিয়াম সিটি ও শতরূপা হাউজিং এর স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। পাশাপাশি কেরানীগঞ্জ ও তারানগর ইউনিয়নের আশাপাশে সকল হাউজিংকে সর্তক করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যে সকল হাউজিং কৃষি জমি ও জলাধার ভরাট করে আবাসন করেছে সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে বলেও সতর্ক করেছে রাজউকের কর্মকর্তাগণ।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলে মোবাইল কোর্ট। অভিযানকালে আবাসন কোম্পানিগুলোকে জলাধার আইন মেনে রাজউক আওতাধীন এলাকায় হাউজিং কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য রাজউক অনুমোদন গ্ৰহণ বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছে।
এই অভিযানে জলাধার আইন লঙ্ঘন করে মিলিনিয়াম সিটি ও শতরূপা হাউজিং বিল ও খাল ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে। এজন্য মিলিনিয়াম হাউজিং এর অফিস ভবন, ওয়াচ টাওয়ার এবং খাল ভরাট করে নির্মিত শতরূপা হাউজিং এর অফিস ও অন্যান্য স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে হাউজিং এর মালিক পক্ষ পালিয়ে যায়, যে কারণে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি অভিযান পরিচালনাকারী টিম। তবে আগামী ৭ দিনের মধ্যে সংশ্লিস্ট সকল অবৈধ দখলকারীকে নিজ উদ্যোগে সকল স্থাপনা ও বালু অপসারণ করে খাল দখলমুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ইমারত নির্মাণ বিধিমালা লঙ্ঘন করে এই এলাকায় নির্মাণাধীন ৩টি ভবনের আংশিক অপসারণ সহ ২টি ভবনে ৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া একটি ভবনের মালিক নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখবেন এবং রাজউক এর অনুমোদন নিয়ে পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু করবেন মর্মে মুচলেকা প্রদান করেন।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন রাজউক এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনির হোসেন হাওলাদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জোন-৫ এর পরিচালক, মো. হামিদুল হক, অথরাইজড অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন, উপ-নগর পরিকল্পনাবিদ নবায়ন খীসা, সহকারী অথরাইজড অফিসার মো. মেহেদী হাসান, সহকারী নগর পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ হাসিবুল হাসান, কানুনগো সোহেল রানা, রাসেল আল মান্নান, প্রধান ইমারত পরিদর্শক মো. সাব্বির আহমেদ, ইমারত পরিদর্শক আব্দুল সাত্তার, তুহিন রেজা সহ রাজউকের অন্যান্য কর্মকর্তারা।