অটিজম শিশুদের খাবারে যা রাখবেন
অটিজম হচ্ছে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশজনিত সমস্যা, যেখানে শিশুদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ, সামাজিক আচরণ, সামাজিক কল্পনা ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলোয় বেশ সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা একেই বলে থাকেন অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার (অঝউ)। শিশুর জন্মের প্রথম ১৮ মাস বয়স পর্যন্ত এটা বোঝা যায় না। ১৮ মাসের পর থেকে ৩ বছর বয়সের মধ্যে একটা শিশুর মধ্যে কিছু কিছু লক্ষণ দেখা যায়।
অটিজম শিশুদের খাবারের তালিকা : অটিজম শিশুদের ক্ষেত্রে গ্লুটেন (এষঁঃবহ) ও কেজিনযুক্ত (পধংবরহ) খাবার বর্জন করতে হবে। অটিজম শিশুদের খাদ্যে গ্লুটেন (গম, যব, বার্লি, রাই, ইস্ট ইত্যাদি) ও কেজিন (দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার) বর্জন করতে হবে। কারণ গ্লুটেন ও কেজিনযুক্ত খাবার অটিজম শিশুদের ত্রুটিপূর্ণ পাচন, শোষণ ও বিপাক ঘটায়। ফলে শিশুদের মধ্যে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। সেই জন্য খাদ্যতালিকা থেকে গ্লুটেন ও কেজিনযুক্ত খাবার ধীরে ধীরে সরিয়ে অস্থিরতার পরিমাণ কমানো যায়।
জিঙ্ক (তরহপ) ও ভিটামিন-সি (ঠরঃধসরহ-ঈ) সমৃদ্ধ খাবার হজমে সাহায্য করে। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে কমলালেবু, কিউই, আঙ্গুর, টমেটো, পেঁপে, ব্রকলি ও স্ট্রবেরি ইত্যাদি । আর জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে ডিম, ডাল ইত্যাদি ।
গবেষণায় দেখা গেছে, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড (ঙসবমধ-৩ ঋধঃঃু অপরফ) সমৃদ্ধ খাবার অটিজম চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে আখরোট, ছিয়া বীজ, মাছের তেল ইত্যাদি ।
থায়রয়েড হরমোন তৈরির জন্য সামুদ্রিক মাছ, আয়োডিনযুক্ত লবণ খাওয়ালে অটিজম শিশুর মানসিক, বুদ্ধিবৃত্তি ও স্নায়বিক উন্নয়ন ঘটানো যায়।
আরও পড়ুন:
শীতে গর্ভবতী মায়েদের যত্ন
অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের হজম সংক্রান্ত সমস্যাগুলো নিরাময় করতে দই ও পনিরের মতো প্রোবায়োটিক্স (চৎড়নরড়ঃরপং) সমৃদ্ধ খাবার রাখুন।
চিনি (ঝঁমধৎ) জাতীয় খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে । অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের এমন খাবার খাওয়া উচিত যাতে চিনির পরিমাণ কম থাকে।
সয়া সসযুক্ত খাবার ও টেস্টিং সল্টযুক্ত খাবারও শিশুর অস্থিরতা বাড়ানোর অন্যতম কারণ।
কার্বোনেটেড (পেপসি, কোকা-কোলা ইত্যাদি) দ্রব্য ইত্যাদিতে প্রচুর ক্যাফেইন থাকে, যা অবশ্যই এড়িয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন:
জরায়ুমুখ ক্যানসারের লক্ষণগুলো জেনে রাখুন
অটিজম চিকিৎসায় সুচিকিৎসা ও সচেতন থাকলে সফলতার হার বেশি। শিশুকে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন তৈরি করতে সাহায্য করুন। তবেই আপনার শিশু ভালো থাকে, আনন্দ নিয়ে বড় হবে।
লেখক : অটিজম বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন চিকিৎসক
চেম্বার : ২০৫, ফার্মভিউ সুপার মার্কেট
আরও পড়ুন:
শীতে মুলা কেন খাবেন?
(তৃতীয় তলা), ফার্মগেট, ঢাকা
০১৮১৩৩২৬৫৯৫