দি নিউ স্কুল ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘পিঠা পার্বণ’

অনলাইন ডেস্ক
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২৮
শেয়ার :
দি নিউ স্কুল ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘পিঠা পার্বণ’

হাড়কাঁপানো শীত জেঁকে বসা জানুয়ারি মাসের এই সময়ে আমাদের ঢাকা শহরটি একটি চিত্তাকর্ষক ভূবনে পরিণত হয়। যখন চুলা থেকে নামানো সুস্বাদু গরম গরম পিঠার মৌ মৌ গন্ধে চারদিকের বাতাস ভরে থাকে। জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে যখন তীব্র শীত সবকিছুকে প্রায় থমকে দিয়েছিল, শুধুমাত্র আমাদের রসনাবিলাসের গোপন সাধকে সে বাগে আনতে পারছিলো না, ঠিক তখন দি নিউ স্কুল ঢাকা পরিবর্তিত হয়ে যায় একটি রহস্যময় রূপকথার রাজ্যে। 

সেদিন এই স্কুলের আঙিনায় প্রবেশ করা মাত্র যেন কেউ উন্নত ঐতিহ্য আর মনকাড়া গ্রামীণ রূপকথায় ভরা বাংলার একটি মনোমুগ্ধকর গ্রামে প্রবেশ করেছেন বলে অনুভব করছিলেন। এর প্রতিটি স্থান বর্ণিল রংয়ে সাজানো হয়েছিলো, আর সেগুলো যে কোনো অতিথিকে তার ভেতরের যাদু দিয়ে আকৃষ্ট করবেই। 

স্কুলটির শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রীসহ সবাই এই আনন্দঘন ও প্রাণপ্রাচুর্যে ভরা পরিবেশে একসঙ্গে হয়েছিলেন ঐতিহ্যপূর্ণ এই বাংলা উৎসবটি উদযাপন করতে। স্কুলের আঙিনাটি রূপ নিয়েছিল রংয়ে হাটে আর বিভিন্ন রকমের পিঠা প্রতিটি স্টলে সাজানো হয়েছিল অত্যন্ত শৈল্পিকভাবে, যার মনকাড়া সুগন্ধে চারদিক ভরে উঠেছিল। 

বাঙালির চিরকালের প্রিয় পাটিসাপটা বা ভাপা পিঠা থেকে শুরু করে হাল আমলের চকলেটের প্রলেপ দেওয়া পিঠা-কিছু না কিছু সবার প্লেটেই দেখা যাচ্ছিল। আমাদের দেশীয় সুমধুর সব সুর বাজছিল আর এই সুন্দর উৎসবমুখর পরিবেশকে সেটি আরও মনোরম করে তুলছিল। হাতে গরম এককাপ দুধ-চা নিয়ে পিঠার স্টলগুলো পরিদর্শন করার সাধ কার না হচ্ছিলো- পিঠাগুলোকে এতো সুন্দর করে সাজিয়ে রাখার কারণে তা খাওয়ার সময় সেগুলোর স্বাদ যেন আরও মনজুড়ানো বলে মনে হচ্ছিল। 

যখন একেকজন একেকরকমের পিঠার স্বাদ নেবার মনোবাঞ্ছা পূরণ করছিলেন, তখন তার পাশের জনও প্রভাবিত হচ্ছিলেন, আর সবাই যার যার পিঠা খাবার নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করছিলেন। এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশের মাঝে সবাই কিন্তু যার যার প্রিয়জনের সাথে ছবিও তুলছিলেন, যেন যেগুলো তাদের হৃদয়ে সারাজীবন অক্ষয় হয়ে থাকে।

দি নিউ স্কুল ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘পিঠা পার্বণ’ উৎসবটি আসলে সকলের প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে, আর সবার মনের ইচ্ছে ছিলো- আহা, যদি আরও বেশি সময় এটি থাকতো! এটি স্বীকার করতেই হবে যে সবার রসনাবিলাসের জন্য এটি ছিল একটি বিশাল আয়োজন, যা এনএসডির অন্যসব বাৎসরিক আয়োজনগুলোর মতোই একটি তর্কাতীত সাফল্য বলে দাবি করাই যায়।