টাকা ছাড়া মিলছে না এসএসসির প্রবেশপত্র!
এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জিম্মি করে প্রবেশপত্র আটকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার জান্না আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, ফরম ফিলাপের সময় জন্য নির্দিষ্ট বোর্ড ফি’র প্রায় দুই হাজার টাকা বাড়িয়ে তিন হাজার ৮০০ টাকা করে নেওয়া হয়। এরপরও ওই স্কুলের শিক্ষকেরা নানা অজুহাত দেখিয়ে প্রবেশপত্র আটকে দিয়ে আরও ৫০০ টাকা দাবি করছে শিক্ষার্থীদের কাছে। এতে করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, এসএসসির পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে বোর্ড ফি বিজ্ঞান বিভাগে ১৬২৫ টাকা ও কেন্দ্র ফি ৫১৫ টাকাসহ মোট ফি ২১৪০ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে ১৫৩৫ টাকা এবং কেন্দ্র ফি ৪৮৫ টাকা, মোট ২০২০ টাকা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার জান্না আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের থেকে এ বছর নিয়মিত ১২৪ জন, অনিয়মিত ৩০ জনসহ মোট ১৫৪ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। ফরম ফিলাপের সময় স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রায় দুই হাজার টাকা বাড়িয়ে তিন হাজার ৮০০ টাকা জমা নেয়। এখন প্রবেশপত্র দেওয়ার সময় আরও ৫০০ টাকা করে শিক্ষার্থীদের কাছে দাবি করছেন তারা। টাকা না দিলে অনেক পরীক্ষার্থীর প্রবেশ পত্র আটকে রাখছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এতে করে ওই স্কুলের অনেক পরীক্ষার্থী প্রবেশপত্রের জন্য বিদ্যালয়ের মাঠে অপেক্ষার প্রহর গুনছে।
ওই স্কুলের ছাত্রী লিমা আক্তার ও শিউলী আক্তার জানায়, ‘আজ রবিবার সকালে আমরা প্রবেশপথ আনার জন্য স্কুলে গিয়েছিলাম। আমাদের সহকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসেন স্যার আরও ৫০০ টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় আমাদের প্রবেশপথ আটকে রাখেন। আর বলেন ‘‘টাকা না দিলে কাউকে এবার প্রবেশপথ দেওয়া হবে না।’’ আমাদের বাবা কৃষক, অনেক কষ্ট করে ৩ হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে ফরম ফিলাপ করেছি। এখন আরও ৫০০ টাকা দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। তাই খালি হাতে চলে আসছি। পরীক্ষা দিতে পারব না ভেবেই কষ্ট হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জান্না আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘মডেল টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। ওই টাকার জন্য তাদের প্রবেশপত্র আটকে রাখা হয়েছে।’ একই কথা বলেন ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসেনও।
বিষয়টি নিয়ে জানতে সাটুরিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শান্তা রহমানের মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।