সব কনটেন্ট ক্রিয়েটররাই কি ইনফ্লুয়েন্সার?
ডিজিটাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তা দিনকে দিন বেড়েই চলছে। সবমহলে বাড়ছে এর গ্রহণযোগ্যতাও। বিশ্বে এখন সক্রিয়ভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০০ কোটি ছাড়িয়েছে। এ সংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬২.৩ শতাংশ। ফলে ‘কনটেন্ট ক্রিয়েটর বা কনটেন্ট’ শব্দটি এখন বেশ পরিচিত সর্বমহলে।
এ সময় জনপ্রিয় ও স্বাধীন পেশাগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে কনটেন্ট ক্রিয়েটর। এ পেশায় যোগ দেওয়া মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে দ্রুত গতিতে। ফ্যাশন, সৌন্দর্য, শিক্ষা থেকে শুরু করে গেমিং, শিল্প, ভিডিও, সংগীত, নকশা এমনকি খাবার-প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিশেষ ভূমিকা রাখছে এসব কনটেন্ট।
সোশ্যাল মিডিয়া ঘাটলে এখন প্রায় সব ধরনের কনটেন্টই পাওয়া করা যায়। এর মধ্যে কিছু মানুষের জ্ঞানের পরিধি বাড়ালেও আবার কিছু শুধু মাত্র বিনোদনের খোরাক। আবার কিছু কনটেন্ট ধ্বংস করছে সমাজকে। তাই ভালোকে গ্রহণ করে মন্দ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার, বিশ্লেষক ও উপস্থাপক সৈয়দ আবিদ হোসেন সামি। আমাদের সময়কে তিনি বলেন, যারা কনটেন্ট ক্রিয়েটর পেশাকে বেছে নিয়েছেন তাদেরকে বিশ্লেষণ, ব্যাখ্যামূলক বা তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে ভিডিও তৈরি করতে হবে।
তার কথায়, ‘কনটেন্ট ক্রিয়েটর মানেই ইনফ্লুয়েন্সার এমনটা কিন্তু না। ইনফ্লুয়েন্সার শব্দটার আলাদা একটা ভার আছে। আপনি যে কোনো ধরনের কনটেন্ট বানাতে পারেন। সেটা সেন্সর কিংবা আনসেন্সর হতে পারে। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় যেহেতু সেন্সরশিপের বালাই নেই, তাই এখানে আনসেন্সরড কনটেন্টেরও অভাব নাই। আপনার কনটেন্টের ভিউয়ার কিন্তু প্রত্যেক বয়সের মানুষ। এখন আপনি একটা বাচ্চাকে তার বয়সের কনটেন্ট দেখাচ্ছেন কি-না সেটাও কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন অনেকেই কন্টেন্ট তৈরি করছে নির্দিষ্ট কিছু মানুষের কথা ভেবে। যেখানে রাজনীতি, শিক্ষা থেকে শুরু করে অনেক বিষয় নিয়ে আলাদা আলাদা কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে। যা কিছু নির্দিষ্ট মানুষের জন্য। আর এটি নিয়ে আপনিও অন্যের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। এসব কনটেন্ট একটা জেনারেশনকে ইনফ্লুয়েন্স করে। এমন বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট বিভিন্ন জেনারেশনকে ইনফ্লুয়েন্স করে। একজন ইনফ্লুয়েন্সারকে অনেকেই আইডল মনে করেন।’
আরও পড়ুন:
যে গ্রহে হয় বালুবৃষ্টি
সব কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ইনফ্লুয়েন্সার না উল্লেখ করে সামি বলেন, ‘আপনি চিন্তা করেন, আপনার ছোট ভাইকে কার মতো বানাতে চান। আপনার সামনে অনেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর আছে। কেউ আছে সর্বজন স্বীকৃত ও সমাদৃত, আবার কেউ খুব জনপ্রিয় কিন্তু সভ্য সমাজে তার গ্রহণযোগ্যতার জায়গাটা কম- সিদ্ধান্ত আপনার হাতে। এখন সভ্য সমাজে যার জায়গা আছে তাকেই আপনি ইনফ্লুয়েন্সার বলবেন। সব কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ইনফ্লুয়েন্সার না।’
এ পেশায় তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সৈয়দ আবিদ হোসেন সামি বলেন, ‘কনটেন্ট ক্রিয়েটর এখন আর প্যাশনের মধ্যে নেই। এটি ফুল টাইম প্রফেশন হিসেবেও অনেকে বেছে নিয়েছে। আয়ের দিক থেকেও এটি বেশ ভালো একটি পেশা। আর কনটেন্ট ক্রিয়েটররা কিন্তু দেশের রেমিট্যান্সেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই পেশায় তরুণরাই বেশি ভূমিকা রাখতে পারে। তাদের নতুন নতুন আইডিয়া উঠে আসবে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট। শুধু তাই না, এসব তরুণরাই আবার বিভিন্ন সামাজিক কাজে অবদান রাখছে।’
আরও পড়ুন:
এআই টিম ভেঙে দিল মেটা