রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি, ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ
রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুলকে অব্যাহতি দিয়ে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণ করা হয়েছে। আজ রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম এ চার্জশিট গ্রহণ করেন।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, ভবনের জামির মালিক এস এম এইচ আই ফারুক, বিএনপি নেতা ভবন পরিচালনা কমিটির সভাপতি তাজভীরুল ইসলাম এবং ভবন পরিচালনা কমিটির সদস্য ছয় সদস্য সেলিম উল্লাহ, এ এ মনিরুজ্জামান, সৈয়দ আমিনুর রহমান, ওয়ারদা ইকবাল, কাজী মাহমুদুন নবী ও রফিকুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে ফারুক ও তাজভীরুল জামিনে আছেন।
২০১৯ সালের ২৮ মার্চ বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ন (এফআর) টাওয়ারে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় ঘটনাস্থলে ২৫ জন ও হাসপাতালে ১ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় আহত হন ৭১ জন। ওই ঘটনায় বনানী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মিল্টন দত্ত ৩০ মার্চ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন:
মৌচাকের গোল্ডেন প্লাজায় অগ্নিকাণ্ড
ঘটনার প্রায় তিন বছর ৯ মাস পর ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর মামলাটি তদন্ত শেষে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) গুলশান জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সমীর চন্দ্র সূত্রধর। তবে লিয়াকত আলী খান মুকুলের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
ওই বছর ২৭ ডিসেম্বর চার্জশিটটি গ্রহণ না করে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন:
চীনা অ্যাপের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব মানুষ
আদালত আদেশে জানানো হয়, অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জন মানুষ মৃত্যুবরণসহ অসংখ্য মানুষ গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। তদন্ত কর্মকর্তা এজাহারনামীয় গুরুত্বপূর্ণ আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন। মামলাটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত কার্যক্রম সম্পূর্ণ হয়নি বলে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হওয়ায় পিবিআইর একজন দক্ষ অফিসার দ্বারা মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।
এরপর পিবিআই মামলার তদন্ত শুরু করে। গত ২২ জানুয়ারি মামলাটি তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইবির ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) রফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি
চার্জশিটে আগুন লাগার কারণ হিসেবে বলা হয়, এফআর টাওয়ারে আগুন লাগা এবং মানুষের মৃত্যুর পেছনে অনেকগুলো কারণ ছিল। তবে তার মধ্যে অন্যতম হলো ভবনের জমির মালিক ও ভবন পরিচালনা কমিটির সদস্যদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব এবং ভবনে অগ্নিপ্রতিরোধক ব্যবস্থা না থাকা। ভবনের দুটি সিঁড়ির একটি সার্বক্ষণিক বন্ধ থাকত।