অডিও ফাঁসের পর ছাত্রলীগের কর্মী বহিষ্কার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানানো যাচ্ছে যে, সম্প্রতি শহীদ ড. শামসুজ্জোহা হলে ঘটে যাওয়া ঘটনায় সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকায় তদন্ত কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী আল আমিন পিয়াসকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, ‘আমরা নতুন কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হলে হলে সিট বাণিজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছি। সম্প্রতি শহীদ ড. শামসুজ্জোহা হলে যে ঘটনাটি ঘটেছে, উক্ত ঘটনায় আল আমিন পিয়াস সিট বাণিজ্যের চেষ্টা করেছিল। যদিও সেখানে কোনো আর্থিক লেনদেন ঘটেনি। যেহেতু সে সিট বাণিজ্যের চেষ্টা করেছিল, তদন্ত কমিটির সুপারিশে তাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো। এ ঘটনায় পিয়াসের সঙ্গে অন্য কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়।’
উল্লেখ্য, সিট বাণিজ্য নিয়ে রাবির শহীদ শামসুজ্জোহা হলের ছাত্রলীগ কর্মী পিয়াসের কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়। ওই অডিওতে পিয়াসের বক্তব্যে সিট বাণিজ্য এবং টাকা ভাগাভাগির কিছু বিষয় ছিল।
অডিও রেকর্ডে পিয়াসকে বলতে শোনা যায়, ‘একটা সিটের বিনিময়ে ৮ হাজার করে দিতে হবে। এর আগে তো ৭-৮ করেই চলত...আমরাও ওই আট (আট হাজার) করে তুলতেছি। কিন্তু তোর সিটের গ্যারান্টি আমি দিব। তোর সম্পূর্ণ দায়ভার আমার। আমরা যে কাজ করব, সেগুলো শিউর সিট।’
এ ঘটনা তদন্তের জন্য গত ২৪ জানুয়ারি দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে শাখা ছাত্রলীগ। কমিটিকে দুই দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়।