খালেদা জিয়ার গ্যাটকো মামলায় চার্জগঠনের শুনানি অব্যাহত
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১৫ আসামির গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার চার্জগঠনের শুনানি শুরু অব্যাহত রেখেছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আলী হোসাইনের আদালতে এ মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য ধার্য ছিল। তবে এদিন খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ হাজিরা দাখিল করেন। একই সঙ্গে চার্জশুনানি পেছানোর আবেদন করেন তিনি। কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন, খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার পারিবারিক কাজে অস্ট্রেলিয়া গেছেন। খালেদা জিয়ার পক্ষে তিনিই অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করবেন। এখনো তিনি দেশে ফিরে আসেননি। এজন্য সময় চান এ আইনজীবী।
আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর আইনজীবী মেজবাহ আসামি খালেদা জিয়ার অব্যাহতির আংশিক শুনানি করে ফের সময় আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে ১৫ ফেব্রুয়ারি শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
আরও পড়ুন:
চীনা অ্যাপের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব মানুষ
কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনের নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনের স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে এদিন এ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
মামলাটিতে গত বছর ৭ ফেব্রুয়ারি দুদকের প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল সকল আসামির কিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় চার্জগঠনের প্রস্তাব করেন।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি
মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ২৪ জন আসামি ছিলেন। তাদের মধ্যে ৯ জন মারা গেছেন। বর্তমানে আসামি ১৭ জন। অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গ্যাটকোর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (অব.) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং একেএম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক সদস্য একে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লি. (গ্যাটকো) এর পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব।
২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করা হয়। পরের বছর ১৩ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরপর মামলার দুই আসামি গ্যাটকোর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ মামলাটি বাতিলের জন্য হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০০৮ সালের ২৯ জুলাই হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে। ফলে এরপর থেকে ১০ বছর মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
সর্বশেষ গত বছর ২৫ নভেম্বর হাইকোর্ট ওই দুই আসামির আবেদন খারিজ করে দেয় এবং ৬ মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতকে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।