ঢাবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারি, ৪ জনকে বহিষ্কার

ঢাবি প্রতিবেদক
২৩ জানুয়ারী ২০২৪, ২০:৪৩
শেয়ার :
ঢাবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারি, ৪ জনকে বহিষ্কার

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের পেছনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুই হলের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন আহত হন। পরে এ ঘটনায় চারজনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। দুপুরের দিকে ঢাবির মধুর ক্যানটিনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সাময়িক বহিষ্কার হয়েছেন মাশফিউর রহমান, ফিরোজ আলম অপি, আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও নিঝুম ইফতার। তারা সবাই ঢাবির বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের উপ দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসান। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাবির তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও হল ছাত্রলীগের কর্মী সাইদুর রহমান শান্ত ও তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের একজন কর্মী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘদিন পর শেখ ইনান মধুর ক্যান্টিনে আসলে তার পাশে দাঁড়ানো নিয়ে সূর্যসেন হলের নেতাকর্মীরা বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের প্রথম বর্ষের ছাত্রদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে হাতাহাতি করে। পরে বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের জুনিয়র কর্মীরা সিনিয়র নেতাকর্মীদের জানালে আরও একদফা হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের উপ-তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক সিফাত আল শাফি বলেন, ‘ইনান ভাই প্রবেশ করলে দাঁড়ানো নিয়ে একটু ঝামেলা হয়। পরে মধুর ক্যান্টিন থেকে কামরুল বের হলে তার ওপর অতর্কিত হামলা হয়। কামরুলকে লাথি দিয়ে ফেলে হকিস্টিক, স্ট্যাম্প, গাছের ঢাল দিয়ে হামলা চালানো হয়। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে শান্তও মাথায় আঘাত পায়। কামরুলের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।’

সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের উপ প্রচার সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে শত শত মানুষের সামনে সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের উপ দপ্তর সম্পাদক কামরুলের ওপর রড, লাঠি দিয়ে অতর্কিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এর বিচার দাবি করছি। কামরুল এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি আছে। মাথায় সেলাই লেগেছে এবং ঠোঁট কেটে গেছে। অবিলম্বে এই হামলার বিচার করতে হবে।’

এ ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিঝুম ইফতা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ ছাড়া বাকি অভিযুক্তদের ফোনে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে। তবে ইনানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি খাদিমুল বাশার জয় বলেন, ‘আমি নিজেই কামরুলকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি এবং সাধারণ সম্পাদককে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি জানিয়েছেন যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’