অরিত্রীর আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলার রায় পেছাল

আদালত প্রতিবেদক
২১ জানুয়ারী ২০২৪, ১২:২৩
শেয়ার :
অরিত্রীর আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলার রায় পেছাল

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে দিয়েছেন আদালত। তবে রায় ঘোষণার পরবর্তী তারিখ এখনো ঠিক করা হয়নি। 

আজ রবিবার ঢাকার ১২তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ মামলার রায়ের দিন ধার্য ছিল। রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন রায়ের তারিখ পিছিয়ে দেন। 

এর আগে গত ১৭ নভেম্বর মামলায় আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানির পর রায়ের জন্য ২১ জানুয়ারি দিন ঠিক করেন। মামলায় আদালত ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

মামলার দুই আসামি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখার প্রধান জিন্নাত আক্তার। তারা এদিন জামিনে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। একই বছর ২৫ মার্চ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর ২০১৯ সালের ১০ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন। 

মামলার চার্জশিটে বলা হয়, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীর সঙ্গে মোবাইল রাখা নিষিদ্ধ থাকলেও ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর অরিত্রী (১৪) মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করেন। যা পরীক্ষা চলাকালীন হলের শিক্ষিকা আফসানা আমতু রাব্বী অরিত্রীর নিকট থেকে নিয়ে নেয় এবং পরদিন মা-বাবাকেসহ স্কুলে আসতে বলে। সে অনুযায়ী অরিত্রী পরদিন বেলা ১১টার দিকে স্কুলে এসে মা-বাবাকে নিয়ে শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনার সঙ্গে দেখা করেন। 

সেখানে কিছু সময় বসে থাকার পর তিনি অরিত্রী ও তার মা-বাবাকে আসামি জিন্নাত আক্তারের কাছে নিয়ে যান। দেখেই তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং অরিত্রীর মা-বাবার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে মেয়েকে টিসি দিয়ে দেবেন বলে জানান। তখন মা-বাবা অরিত্রীকে নিয়ে আসামি নাজনীন ফেরদৌসের রুমে যান। সেখানে অরিত্রী আসামি নাজনীন ফেরদৌসের পা ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। সঙ্গে তার মা-বাবাও মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। 

কিন্তু নাজনীন ফেরদৌস তাদের কথাবার্তা ও ক্ষমা প্রার্থনায় কর্ণপাত না করে তিনিও টিসি দিয়ে দেবেন বলে জানান। এতে অরিত্রীর মা-বাবার সঙ্গে নাজনীনের কথাকাটাকাটি হওয়ার সময় অরিত্রী বাসায় চলে যায় এবং আসামি নাজনীন ও জিন্নাত আক্তারদের নির্মম আচরণে কারণে সিলিং ফ্যানের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করে। আসামিদের নির্দয় ব্যবহার এবং অশিক্ষিত সুলভ আচরণই অরিত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে।