শ্রমবাজার ইস্যুতে কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের অ্যাসিস্টেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি শেখা নাজওয়া বিনতে আব্দুর রহমান আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেছেন কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম।
গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে কাতারের শ্রমবাজার সম্প্রসারণ, বাংলাদেশি কর্মী সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যু, আসন্ন সপ্তম জয়েন্ট কমিটি মিটিং ও দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাতারের আমীরের সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফরে একটি শ্রমসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সম্পাদনের প্রস্তাব দিলে অ্যাসিস্টেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন। রাষ্ট্রদূত কাতারে বসবাসরত বাংলাদেশিদের বেতন ভাতা ও সার্ভিস বেনিফিট সংশ্লিষ্ট সমস্যার বিষয় তুলে ধরলে শেখা নাজওয়া আল থানি এ বিষয়ে যেকোনো অভিযোগ তাৎক্ষণিক লেবার মিনিস্ট্রিকে জানানোর জন্য অনুরোধ করেন। কোনো শ্রমিক তার বেতন না পেলে এক মাসের ভেতরে অভিযোগ দায়ের ও দূতাবাসকে জানানোর পরামর্শ দেন।
রাষ্ট্রদূত কাতারের বিভিন্ন খাতে দক্ষ ও পেশাদার জনশক্তি নিয়োগ করার বিষয় তুলে ধরলে শেখা নাজওয়া আল থানি বলেন, ‘কাতার শ্রম বাজার ডিজিটালাইজেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই বর্তমানে দেশে দক্ষ ও প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন শ্রমিক আনার বিষয়ে পরিকল্পনা করছে সরকার। আগামীতে কাতারে আর কোনো অদক্ষ শ্রমিককে ভিসা দেবে না।’
বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন মামলার নিষ্পত্তি ছাড়াই তাদের ডিপোর্ট (বাধ্যতামূলক নিজ দেশে ফেরত পাঠানো) করা হচ্ছে। রাষ্ট্রদূত এ বিষয়টি তুলে ধরলে শেখা নাজওয়া বলেন, ‘ইতোমধ্যে কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে অনলাইন লিংক করা হয়েছে। আগামীতে কোনো শ্রম অভিযোগের নিষ্পত্তি ছাড়া কাউকে ডিপোর্ট করা হবে না।’
বৈঠকে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রমকল্যাণ উইংয়ের কাউন্সিলর মোহাম্মদ মাশহুদুল কবীর ও তন্ময় ইসলাম এবং কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
