বাড়িওয়ালার ছেলের গলায় ছুরি চালানো ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে চার্জগঠন

আদালত প্রতিবেদক
১৭ জানুয়ারী ২০২৪, ১২:১৪
শেয়ার :
বাড়িওয়ালার ছেলের গলায় ছুরি চালানো ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে চার্জগঠন

এক বছর পূর্বে যে বাড়িতে ভাড়া ছিল সে বাড়ি পুনরায় ভাড়া নিতে এসে বাড়িওয়ালার শিশু ছেলের গলায় ছুরি চালিয়ে শ্বাসনালী কেটে ফেলার মামলায় ভাড়াটিয়া মো. শরীফের (৩০) বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছেন আদালত।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) রেজাউল করিম চৌধুরী আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠনের এ আদেশ দেন। যা আজ বুধবার জানা গেছে।

মঙ্গলবার শুনানিকালে বাদিনীর ছেলে ভিকটিম মাহিমকে (১১) তার বাসা থেকে আদালতে নিয়ে আসেন। আদলত ভিকটিকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, আসামি তার গলায় ছুরি চালিয়েছে। 

২০২২ সালের ৭ আগস্ট রাজধানীর উত্তরখান থানাধীন দোবাদিয়াস্থ ৫২৩/২/এ, পূর্বপাড়া, টেকপাড়ার বাসায় ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর দিন উত্তরখান থানায় মামলা করেন ভিকটিমের মা মোসা. রেহেনা আক্তার। 

মামলার অভিযোগে তিনি বলেন, শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী থানার রানীশিমুল গ্রামের আইউব আলীর ছেলে আসামি মো. শরীফ (২৮), ঘটনার ১ বছর পূর্বে বাদিনীর বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে ছিল। এক বছর পর ২০২২ সালের ৭ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই বাসায় এসে পুনরায় বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলেন। তখন বাদিনী তার স্বামীর সঙ্গে মোবাইল নম্বরে কথা বলতে বলেন। এরপর আসামি চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর আবারও বাসায় ফিরে মোবাইল নম্বরটি ভুল বলে সঠিক নম্বরটা চায়। 

বাদিনী মোবাইল নম্বর লিখে দেওয়ার জন্য বাসার মধ্যে কলম খোঁজাখুজি করে না পাওয়ায় আসামি নিচ থেকে কাগজ-কলম আনলে বাদিনীর ছেলে মাহিম (১১) মোবাইল নম্বরটি লিখে দেয়। এরপর বাদিনীর ছেলে মাহিম (১১) ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ করতে গেলে অতর্কিতভাবে আসামি শরীফ তার কাছে থাকা ক্ষুর দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোতাড়ি মাহিমের গলায় পোঁচ দিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। 

মাহিম (১১) চিৎকার-চেঁচামেচি করলে বাদিনীর বড় ছেলে ফাহিম (১৭) দৌড়ে এলে আসামি তাকেও ক্ষুর দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি গলায় ও বুকে পোঁচ দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। ওই সময় বাদিনীর ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীসহ স্থানীয় লোকজন এসে আসামি শরীফকে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে স্থানীয় উত্তরখান থানা পুলিশকে খবর দেয়। 

উত্তরখান থানা পুলিশ বাসায় এসে শরীফকে আটক করে। ঘটনার পর আহতদের প্রথমে শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। কুর্মিটোলা হাসপাতাল থেকে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। 

মামলাটি তদন্ত করে উত্তরখান থানা পুলিশের উপপরিদর্শক শ্রী আলম কুমার বিশ্বাস চার্জশিট দাখিল করেন।