প্রবাসীদের বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে এগিয়ে আসার আহ্বান

সৌদি আরব প্রতিনিধি
১০ জানুয়ারী ২০২৪, ২০:০৫
শেয়ার :
প্রবাসীদের বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে এগিয়ে আসার আহ্বান

মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে বুকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য সৌদিপ্রবাসীদের যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। 

আজ বুধবার দেশটির রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান। 

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ।’

এ উপলক্ষে দূতাবাসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা। দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে পাঠানো রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। দূতাবাসের কার্যালয় প্রধান ও কাউন্সেলর মো. বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভার শুরুতে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের পাঠানো বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ওপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদাররা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। তাকে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী করা হয়। বাঙালি যখন স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছে, বঙ্গবন্ধু তখন পাকিস্তানের কারাগারে প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আসামি হিসেবে প্রহর গুনছিলেন। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। পৃথিবীর বুকে জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলে বিশ্বনেতারা বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। আন্তর্জাতিক চাপে পরাজিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী শেষ পর্যন্ত বন্দিদশা থেকে বঙ্গবন্ধুকে সসম্মানে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে বিশাল জনসমুদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বঙ্গবন্ধু, নাতিদীর্ঘ ভাষণে জাতিকে দেন দিক নির্দেশনা। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে সেদিন স্বাধীনতার পূর্ণতা পেয়েছিল। দেশে ফিরেই বঙ্গবন্ধু দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। তিনি যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরকে নতুন রূপে গড়ে তুলেছিলেন।’

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে ও ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে একটি উচ্চ আয়ের দেশে উন্নীত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের মতো এগিয়ে নিতে ১০০ বছরের ডেল্টাপ্ল্যান গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছে যেখানে এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান হবে। বর্তমানে দেশে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।’

আলোচনা সভার শেষে বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত এবং দেশে-বিদেশে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশিদের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।