কতটা ধনী হৃতিক, কী আছে তার সম্পত্তির তালিকায়?
‘কাহো না প্যায়ার হ্যায়’ সিনেমা দিয়ে ২০০০ সালে বলিউডে পা রেখেছিলেন হৃতিক রোশন। ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন ‘ধুম’, ‘কাইটস’, ‘কৃশ’, ‘যোধা আকবর’, ‘কোয়ি মিল গ্যায়া’, ‘মুঝসে দোস্তি কারোগা’সহ আরও বেশি কিছু সুপারহিট সিনেমা। আজ বুধবার সেই ‘গ্রিক গড’খ্যাত অভিনেতার জন্মদিন। ৫০ বছর পূর্ণ হলো তার। বিশেষ দিনটিতে ভক্ত ও পরিবারের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন তিনি।
একটা সময় রাকেশ-পুত্রর গায়ে সেঁটে দেওয়া হয়েছিল ‘ওয়ান ফিল্ম হিরো’ তকমা। অর্থাৎ একটা সিনেমাই সাফল্য পায় যে নায়কের! পরিচালক-প্রযোজকরাও রাজি ছিলেন না হৃতিককে নিয়ে কাজ করতে। তবে ভাগ্য বদলে দিয়েছিল ‘কোয়ি মিল গ্যায়া’ সিনেমাটি। রাতারাতি নাম উঠে গিয়েছিল বলিউডের শীর্ষ নায়কদের তালিকায়। এরপর থেকেই ইন্ডাস্ট্রিতে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট ৩ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হৃতিক। বলিউড অভিনেতাদের মধ্যে তার বাড়ি মুম্বাইয়ের একটি দর্শনীয় স্থানের মধ্যে পড়ে। অভিনেতার বাড়ি জুহু ভার্সোভা লিংক রোডে। ৩৮ হাজার বর্গফুটে বাড়িটি তৈরি। তথ্য অনুসারে, অভিনেতার এই বাড়ির বর্তমান বাজার মূল্য ১০০ কোটি।
হৃতিকের রয়েছে বিলাসবহুল গাড়ির শখ। জানা যায়, ১০টিরও বেশি দামি গাড়ি রয়েছে তার সংগ্রহে। অভিনেতা রোলস-রয়েস ঘোস্ট সিরিজ ২-এর মালিক, যার দাম ৭ কোটি টাকা। এ ছাড়া তার কাছে রয়েছে অডি, মার্সিডিজ ও পোর্শের মতো ব্র্যান্ডের একাধিক গাড়ি।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
শুধু তা-ই নয়, দামি ঘড়ির শখও রয়েছে হৃতিকের। বিলাসবহুল ঘড়ি সংগ্রহ করা তার নেশাও বলা যায়। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা তার ঘড়ির সংগ্রহ নিয়ে তথ্য ফাঁস করেছিলেন। জানান, বিভিন্ন দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি রাখেন তিনি।
এ ছাড়া হৃতিকের অনেকগুলো জিম রয়েছে। ভারতে ১১টি ছাড়াও বিভিন্ন দেশেই তার এই ব্যবসা রয়েছে। সেখান থেকেও আয় হয় মোটা অংক। একই সময়ে, অভিনেতা ২০১৩ সাল থেকে চালু করেছেন নিজের পোশাক ব্র্যান্ডও।
উল্লেখ্য, বলিউডের অন্যতম অভিনেতাদের একজন হৃতিক। বর্তমানে এই অভিনেতা একটি সিনেমার জন্য কমপক্ষে ৩৫ থেকে ৭০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন। সিনেমা ছাড়াও তিনি মোটা অংক আয় করেন এনডোর্সমেন্ট থেকে। একটি বিজ্ঞাপনের জন্য ৮ থেকে ১০ লাখ রুপি নেন বলে সূত্রের খবর।
এদিকে, আগামী ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পেতে যাচ্ছে হৃতিকের ‘ফাইটার’। এতে তার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন দীপিকা পাড়ুকোন। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন সিদ্ধার্থ আনন্দ।
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট