সারপ্রাইজ দিতে গিয়ে ৩ ভক্তের মৃত্যু, যা করলেন যশ
৩৮ বছরে পা রাখলেন ভারতীয় কন্নড় সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা যশ। গতকাল সোমবার ছিল তার জন্মদিন। প্রিয় অভিনেতার জন্মদিনে সারপ্রাইজ দিতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন তার ভক্তরা। আর সেখানেই ঘটে এক বড় দুর্ঘটনা।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, সোমবার কর্ণাটকের গদগ জেলায় অভিনেতার জন্মদিনের ব্যানার টাঙাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন তিনজন।
পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যারা মারা গিয়েছেন তাদের নাম হনুমন্ত হরিজন, মুরালি নাদুভিনামনি এবং নবীন গাজি। তাদের সকলেরই বয়স ২০ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে। এছাড়াও আরো তিনজন আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে। বর্তমানে যাদের চিকিৎসা চলছে।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
এদিকে, কর্ণাটকে ঘটা এই দুর্ঘটনার পর মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে ছুটে যান মর্মাহত যশ। আহতদের দেখতে হাসপাতালেও গিয়েছেন ‘কেজিএফ’র এই অভিনেতা।
সংবাদ মাধ্যমকে যশ জানান, তিনি এ ধরনের উন্মাদনা আশা করেননি। ভক্তদেরকে তাদের পরিবারের জন্য দায়বদ্ধ আচরণ করার জন্য অনুরোধ করেছেন অভিনেতা।
যশ বলেন, ‘যেখান থেকেই আমাকে শুভেচ্ছা জানান, আমার জন্য সেটা হবে ভালো লাগার। এ ধরণের দুঃখজনক ঘটনায় আমার নিজের জন্মদিনকে নিজের ভয় লাগবে। এভাবে ভালোবাসা প্রকাশের প্রয়োজন নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের ভালোবাসা এভাবে প্রকাশ করবেন না অনুগ্রহ করে। আপনাদের অনুরোধ করছি, ব্যানার টাঙাবেন না, বাইক চেজ করবেন না, বিপদজনক সেলফি তুলবেন না। জীবনটাকে এগিয়ে নিন, যেভাবে আমি নিচ্ছি। আপনারা যদি সত্যিই আমার ভক্ত হয়ে থাকেন তাহলে নিজেদের কাজগুলো দায়িত্ব নিয়ে করুন। নিজের জীবনটাকে এবং নিজেকে সুখী ও সফল করে তোলার চেষ্টা করুন। আপনারা আপনাদের পরিবারের সবকিছু। তাদের গর্বিত করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যান।’
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
যশ ভক্তদের তার কাজ কিংবা জন্মদিনকে ঘিরে উত্তেজনা পাগলামির বিষয়টা নতুন কিছু নয়। এর আগে ২০১৯ সালে যশের জন্মদিনে তার ভক্তদের দেখা না দেওয়ায় তার এক ভক্ত গায়ে পেট্রল ঢেলে নিজেকে জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন। ২০২১ সালেও আরেক যশ ভক্ত গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। এখানেই শেষ নয় প্রিয় তারকার জন্মদিন উপলক্ষ্যে ২০২০ সালে ৫ হাজার কেজির কেক বানান কয়েক ভক্ত। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নজির গড়ে সেই কেক। একই বছর যশের আরও একদল ভক্ত নায়কের কাটআউট বানিয়ে নজির গড়েছিলেন। ২১৬ ফুটের কাটআউট বানানো হয়, যা এখনো বিশ্বের সবচেয়ে বড় কাটআউট বলে দাবি করা হয়েছে।