যেসব কারণে হারলেন চুমকী

গাজীপুর প্রতিনিধি
০৮ জানুয়ারী ২০২৪, ১৬:৩৭
শেয়ার :
যেসব কারণে হারলেন চুমকী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৫ আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের হেবিওয়েট প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকী। এ আসন থেকে চুমকী টানা তিনবার এমপি হয়েছিলেন। তবে এবার তিনি প্রায় ১৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী ঢাকসুর সাবেক ভিপি আখতারউজ্জামানের কাছে।

এই হেরে যাওয়ার পেছনে নানা কারণের কথা বলছেন এলাকার লোকজন। তারা মনে করেন, রাজনীতিতে আত্মীয়-স্বজনদের প্রাধান্য দেওয়া, দলীয় ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করা, নিজস্ব কর্মী বাহিনী তৈরী করা, দলীয় সংগঠনে নিজস্ব লোকদের পদায়ন, এপিএস দিয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা, দলীয় বিভাজনই তার পরাজয়ের পেছনে দায়ী। বিশেষ করে তার চাচাতো ভাই ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সরকারি কর্মাচারীদের মারধরসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে ভোটাররা। এ কারণে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন সাবেক এমপি আখতারউজ্জামানের সঙ্গে।

এছাড়াও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমও আখতারউজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন। তখন এ আসনের মহানগরের অংশসহ অবহেলার শিকার এলাকায় নানা উন্নয়নমূলক কাজের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন আখতারউজ্জামান। এটিও তার জয়ের পেছনে সহায়তা করেছে। 

আখতারউজ্জামান দুই মেয়াদে গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। সেসময় তিনি এলাকার উন্নয়ন নিয়ে সরব ছিলেন। স্বচ্ছ রাজনৈতিক হিসেবেও তার পরিচিতি আছে। এবারের জাতীয় নির্বাচনে তিনি তরুণ ভোটারদের ভোট টানতে দিয়েছেন ফ্রিল্যান্সিংসহ নানা কাজের ক্ষেত্র তৈরীর প্রতিশ্রুতি। এলাকা থেকে মাদক দূরীরকরণ, বেকার সমস্যার সমাধান করে কর্মসংস্থান নিশ্চিত, বেকার লোকদের প্রশিক্ষিত করে প্রবাসে পাঠানোসহ নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন জয় করে নিয়েছেন সহজেই। 

এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক অ্যাডভোকেট আশরাফী মেহেদী হাসান বলেন, ‘এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তিনি সবকিছু নিজস্ব লোক দিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছেন। দলে বিভাজন করেছেন, ত্যাগী পরিক্ষিত নেতাকর্মীদের অবজ্ঞা করেছেন। এর ফলে আওয়ামী লীগের বৃহৎ একটি অংশ দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।’