সাতক্ষীরা-১ /

নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ ইসির

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা
০৫ জানুয়ারী ২০২৪, ২২:৪৩
শেয়ার :
নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ ইসির

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে সাতক্ষীরা-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রার্থী ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ শুক্রবার ইসির আইন শাখার উপসচিব মো. আব্দুছ সালামের স্বাক্ষরিত নির্দেশনাটি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়। পরে সন্ধ্যা ৭টায় কলারোয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওহিদ মুরাদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।  

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, সাতক্ষীরা-১ নির্বাচনী এলাকায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন তার নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দলের ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবে না। তাদের দলের কোনো প্রার্থী নেই। তারা যদি ভোট কেন্দ্রে যায় একটা গণ্ডগোল বাঁধবে। আমার কর্মীরা যদি দেখে তারা নৌকাতে ভোট দেয়নি, তাহলে অন্য একটি ঝামেলা হবে। তার চেয়ে তারা কেন্দ্রে যাবে না, আমরা নির্বাচিত হলে কথা দিচ্ছি তাদের কোনো ক্ষতি হবে না, এটাই হলো বড় ম্যাসেজ।’

প্রার্থী গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৩ এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর দফা ১১(ক) এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন মর্মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠায়। অভিযুক্ত ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৩ এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর দফা ১১(ক) এর অধীন সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার দায়ের করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কলারোয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওহিদ মুরাদ বলেন, ‘কলারোয়ার বাটরা এলাকায় নির্বাচনী একটি মিটিংএ ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন উল্লেখিত বিষয়ে বক্তব্য দিলে নির্বাচনে অপর এক প্রার্থীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যাচায় কর নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা সাতক্ষীরা যুগ্ম জেলা জজ ও জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট শহিদুল ইসলাম গত ২২ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন বরাবর প্রতিবেদন পাঠান। তার পরিপ্রেক্ষিতে ইসি সংশ্লিষ্ট আচরণ বিধি লঙ্ঘনের আইনে এই মামলার নির্দেশ দেন। নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মামলাটি কলারোয়া থানায় দায়ের করি। ’

এ দিকে মামলার নম্বর জানতে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলামের কাছে বারবার ফোন করলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি। তবে কলারোয়া থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকী।  

এ ব্যাপারে ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন বলেন, ‘অফিসে একটি ঘরোয়া পরিবেশে ভোটার ও দলীয় কর্মীদেরকে বোঝানো হচ্ছিল দল বেধে ৮/১০ জন একসঙ্গে ভোট দিতে যাওয়ার সময় অনেক ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের প্রার্থীর সমর্থক ও লোকজন দারা গোলযোগ হতে পারে। এভাবে ভোট দিতে যাওয়ার দরকার নেই। এই বিষয়টি রঙচঙ দিয়ে আওয়ামী লীগের ভেতরে কিছু বেইমান ও দুই একজন কুলাঙ্গার আছে ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ করে। তার লিখিত জবাবও দিয়েছি। মামলার বিষয়টি ভোটারদের ঘাবড়ানোর কিছু নেই। দুই এক বছর আদালতে বিচারের পরে ৫ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। তাছাড়া এটা কিছু না।