ভোটে আগ্রহ নেই কারাবন্দীদের

গাজীপুর প্রতিনিধি
০১ জানুয়ারী ২০২৪, ২০:৩৩
শেয়ার :
ভোটে আগ্রহ নেই কারাবন্দীদের

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোটে অংশ নিতে আগ্রহ দেখাননি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ও জেলা কারাগারে আটক প্রায় ১০ হাজার বন্দীর কেউ। নির্দিষ্ট সময়ে কোনো বন্দীই পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে আবেদন করেননি।

আজ সোমবার বিকেলে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ও জেলা কারাগারে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা এমন তথ্য জানিয়েছেন। জেলার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের চারটি অংশে বন্দী আছেন প্রায় সাড়ে ৮ হাজার ও জেলা কারাগারে আছেন ১ হাজার ৬০০।

প্রতিবারের মতো এবারও কারাবন্দীদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩০ নভেম্বর। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কারাগারে কোন বন্দী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার আবদেন করেননি।

এর আগে এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল কারাবন্দীদের। তবে সচেতনতা ও প্রচারের অভাবে অনেকেই সে সুযোগটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে মনে করছেন অনেকে। 

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের পার্ট-১ ও কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের দায়িত্বে থাকা সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ বলেন, ‘কারাগারে বন্দীদের পোস্টাল ব্যালটের ভোটের বিষয়ে আমরা কোনো নির্দেশনা পাইনি। আমাদের কাছে মৌখিক বা লিখিত আদেশও আসেনি। তাই বন্দীদের এ বিষয়ে আমরা কিছু বলিনি, বন্দীরাও আমাদের ভোটের বিষয়ে কিছু বলেনি।’

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, ‘এ কারাগারে ২ হাজার ৬৯৪ জন বন্দী আছে। তাদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থাও আছে। কিছু নিয়ম-কানুন মেনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করতে হয়। আমরা কারাগারে বন্দীদের জানিয়েছিলাম, কিন্তু তাদের মধ্য থেকে কেউ আবেদন করেননি।’

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ সাড়ে তিন হাজারের বেশি বন্দী আছেন। ওই কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এখানে কোনো বন্দী পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি। আমরা বিষয়টি জানানোর পরও তাদের কাছ থেকে কোনো আবেদন পাওয়া যায়নি।’

গাজীপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. আনোয়ারুল করিম বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর যদি কোনো কারাবন্দী ভোট দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন, তাহলে আইন মেনে ভোট প্রদানের সুযোগ দেওয়া যেত।’

গাজীপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে জেলায় পাঁচটি আসনে ৪৮৮টি পোস্টাল ব্যালটে ভোটের জন্য আবেদন জমা পড়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাও আছেন। এসব যাচাই-বাছাই হচ্ছে।’