‘যে পুলিশ কথা শুনবে না, সেই পুলিশকে থানায় রাখব না’
মাদারীপুর-৩ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের পক্ষে বক্তব্য দিয়ে ভাইরাল হয়েছেন কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল হাসান সেলিম।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ থেকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার রাতে জেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নের হাকিমুন্নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মাদারীপুর-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপ মিয়ার এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য দেন কামরুল হাসান সেলিম।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে কামরুল হাসান সেলিমকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা হলাম ড. আবদুস সোবহান গোলাপের কর্মী, আওয়ামী লীগের কর্মী। আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকালে চোখটা খুলে ফেলতে হবে। আবার কেউ যদি বলে পা ভেঙে ফেলবে, তাহলে আমাকে ফোন দেবেন; চতুর্দিক দিয়ে বল্লার মতো এসে ধরে ওকে শেষ করে দেওয়া হবে, কোনো ছাড় হবে না। আপনারা পারবেন না? ভয় লাগে? আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, পুলিশ আপনাদের। যে পুলিশ হালায় কথা শুনবে না, সেই পুলিশ হালাকে থানায় রাখব না, পরিষ্কার ভাষা।’
মাদারীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সোহেল রানা বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই নৌকা প্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকরা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে আসছে। বিভিন্ন সভা-উঠান বৈঠকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভীতিকর বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে ভোটারদের মধ্যে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি ও নির্বাচনের পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কামরুল হাসান সেলিমের ভীতিকর, উসকানিমূলক ও পুলিশ বাহিনীকে হেয় প্রতিপন্ন, অশালীন বক্তব্যের আমরা তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ ছাড়া, যথাযথ আইনগত ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে সাহেবরামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নৌকা প্রতীকের কর্মী কামরুল হাসান সেলিমের মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাশ বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’
