মমতাজের সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে হত্যার হুমকির অভিযোগ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলুর সমর্থক মো. শাখওয়াত হোসেনকে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার সকালে ভুক্তভোগী শাখওয়াত হোসেন হরিরামপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় ভুক্তভোগী হরিরামপুর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মোল্লা ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিফাত চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এতে স্থানীয়দের মধ্যে ভীতি এবং ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এদিকে, হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তারা।
সাখওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টায় কৌড়ি কলেজগেট মোড়ে চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। এ সময় মোল্লা ফরিদ এবং রিফাত চৌধুরী ২০-২৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে চায়ের দোকানে প্রবেশ করে আমার হাতে নৌকা মার্কার লিফলেট দিয়ে আমাকে নৌকা মার্কার মিছিলে যেতে বলে। আমি মিছিলে যেতে অস্বীকার করলে তারা আমাকে টানা-হেছড়া করতে থাকে। আমি বাধা প্রদান করলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। নির্বাচনের পরে আমি কিভাবে এলাকায় থাকি তাও দেখে নিবে বলে হুমকি দেন তারা।’
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মোল্লা বলেন, ‘তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়নি। তিনি যে অভিযোগ করছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আমাদের হেনস্থা করার জন্য এ সব কাজ করছেন তিনি।’
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিফাত চৌধুরী বলেন, ‘প্রথম কথা হলো শাখওয়াত হোসেন আওয়ামী লীগ করেন না, বিএনপি করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি করেন তাই তাকে জোর করে মিছিলে নেওয়ার কোনো মানেই হয় না। আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ লোকবল আছে। তবে প্রচারণার অংশ হিসেবে ওই দিন সাধারণ মানুষের সঙ্গে তার হাতেও লিফলেট দেওয়া হয়েছিল। তাকে হুমকি ধামকি কোনো কিছুই দেওয়া হয়নি শুধু বলা হয়েছে আপনারা মানুষকে সঠিক তথ্য দিবেন। ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে ভোটকেন্দ্রে যেতে বিমুখ করবেন না।’
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ নুর এ আলম বলেন, ‘অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছ। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’