ভোট চাইছেন ফেরদৌস-মাহি, সেলফি তুলছে জনগণ
দেশজুরে বইছে নির্বাচনী হওয়া। এর মধ্যে যোগ হয়েছে প্রিয় তারকাকে কাছে পাওয়ার আনন্দ। এ যেন বাড়তি পাওয়া দেশের দুই আসনের জনগণের। আর এই দুই আসন হলো ঢাকা-১০ ও রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর)। কারণ এই দুই আসন থেকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করছেন জনপ্রিয় দুই তারকাশিল্পী চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
এদের মধ্যে এবার নির্বাচনে নৌকার মাঝি হয়েছেন ফেরদৌস আর মাহি লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। গেল সোমবার প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা তাদের নিজ নির্বাচনী এলাকায় জোর গতিতে প্রচারণা চলাচ্ছেন। ছুটে যাচ্ছেন এলাকার মানুষজনদের কাছে। আর এই সুযোগটি হাতছাড়া করতে চাচ্ছেন না তাদের ভক্তরা। নির্বাচনী মাঠেই প্রিয় তারকার সঙ্গে ক্যামেরাবন্দী হচ্ছেন তারা।
ফেরদৌসের নির্বাচনী এলাকা ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান এবং হাজারীবাগ। নৌকার মাঝি হয়ে প্রায়ই প্রতিদিনই তাকে কোনো না কোনো এলাকায় ছুটে যেতে হচ্ছে। আর সেখানেই ভক্তরা ঘিরে ধরছেন তাকে, তুলছেন সেলফি।
ফেরদৌস বলেন, ‘ভক্তদের এমন ভালোবাসা আমি খুব এনজয় করি। এমনটি শুধু এখনই নয়, বহুবার হয়েছে। একজন শিল্পীর জীবনে এটি অনেক বড় প্রাপ্তি। এবার প্রচারণায় যাওয়ার পর বুঝতে পারছি, তারাও আমাকে পেয়ে খুবই আনন্দিত। তারা সুখ-দুঃখে কথা বলছে, তাদের প্রয়োজনগুলো সম্পর্কে আমাকে জানাচ্ছেন। আর তাদের বলার ধরন শুনে মনে হচ্ছে, খুব আপনজনের কাছে তারা কথাগুলো বলছেন। এই অর্জনটা হয়েছে শুধুমাত্র একজন অভিনেতা হওয়ার কারণে। আমি তাদের বিশ্বাসের জায়গাটা ঠিক রাখতে চাই। তাদের সেবা করা সুযোগটা চাই। আশা করি, আমি সেই সুযোগটা পাবো।’
আরও পড়ুন:
স্ত্রীর কবরের পাশে পরীর নানা সমাহিত
অন্যদিকে, রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিও ছুটে বেড়াচ্ছেন তার নির্বাচনী এলাকায়। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়ার পাশাপাশি নারীদের সঙ্গে দারুণ এক সম্পর্ক তৈরি করছেন এই চিত্রনায়িকা।
আরও পড়ুন:
গণভবনে ডাক পেলেন আ. লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা
মাহির কথায়, ‘আমার দাদা-নানার বাড়ি রাজশাহীতে। এই এলাকার সঙ্গে নাড়ির সম্পর্ক। এখানে আমার অনেক আত্মীয় স্বজন। তাদের উৎসাহেই কিন্তু নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। অবশ্য এর পেছনে বড় একটি কারণও আছে। আমি সবসময় এলাকার মানুষজনদের সঙ্গে ছিলাম, আছি ও থাকব। ব্যক্তি উদ্যোগে এলাকায় অনেক সেবা করা সৌভাগ্য আমার হয়েছে। এলাকার মানুষজনই আমাকে উৎসাহ দিয়েছে নির্বাচন করার। তাই নির্বাচনে নাম লিখিয়েছি।’
সঙ্গে যোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘একজন অভিনেত্রী হওয়ার কারণে দেশজুড়ে আমরা একটা আলাদা পরিচিতি আছে। অনেক ভক্ত- শুভাকাঙ্ক্ষী আছে। এবার যখন প্রচারণায় গ্রামে গ্রামে যাচ্ছি, তারাও আমাকে পেয়ে বেশ আনন্দ করছে। আর এই মুহূর্তটা অনেকেই ক্যামেরাবন্দী করছেন। এই ভালোবাসা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। আর এখানকার নারীদের সঙ্গে আমার অন্যরকম একটা সম্পর্ক। তারা অনেক আগেই আমাকে আপন করে নিয়েছেন। একজন নারী হিসেবে তারা মন খুলেই কথা বলছেন। আমি মনে করি, আমি তাদের সেবা করার সুযোগ পাবো।’
আরও পড়ুন:
জোটের ভাগে অনেক নেতা নৌকা হারাবেন
এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শোবিজের আরও তিন তারকা অংশ নিচ্ছেন। তারা হলেন বরেণ্য অভিনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নূর, ফোক গানের শিল্পী মমতাজ ও কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনী। এদের মধ্যে আসাদুজ্জামান নূর নীলফামারী-২ আসন ও মমতাজ মানিকগঞ্জ-২ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। এবারও তারা তাদের নির্বাচনী এলাকা থেকে নৌকার মাঝি হয়েছেন। ফলে তাদের দু’জনের সঙ্গে এলাকার মানুষজনের সেলফির হিড়িকটা খুব একটা নেই বললেই চলে। আর কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনীও ব্যস্ত আছেন পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) আসনের প্রচারণায়। সেখানেও লক্ষ করা যায়, সেলফির হিড়িক। তবে ফেরদৌস আর মাহির বেলায় সেটি যেন প্রকট আকার ধারণ করেছে।