খিচুড়ি নিয়ে নিক্সন সমর্থকদের ‘তুঘলকি কাণ্ড’

থানায় অভিযোগ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:০৫
শেয়ার :
খিচুড়ি নিয়ে নিক্সন সমর্থকদের ‘তুঘলকি কাণ্ড’

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বিজয় দিবস ‍উপলক্ষে কাজী জাফর উল্যাহ সমর্থকের রান্না করা খিচুড়ি মাটিতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রশিবপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে আজ শনিবার থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফিরোজ মাতুব্বরের বাড়িতে স্থানীয় শতাধিক নেতাকর্মীদের জন্য খিচুড়ি রান্না হচ্ছিল। তিনি ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহর সমর্থক।

ওই রান্নার শেষ পর্যায়ে ৩০ থেকে ৩৫ জন লোক ঘারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মনসুর মুন্সীর নেতৃত্বে নিক্সনের পক্ষে স্লোগান দিতে দিতে এসে দুই হাড়ি খিচুড়ি চুলার পাশে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে আবার স্লোগান দিতে দিতে তারা চলে যায়। বর্তমান সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

কাজী জাফর উল্যাহ সমর্থকরা এ ঘটনাকে ‘তুঘলকি কাণ্ড’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। ঘটনার বিষয়ে ঘারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে এ খিচুড়ি রান্না করা হচ্ছিল সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতার বাড়িতে। এ সময় নিক্সনের সমর্থকরা স্লোগান দিতে দিতে ওই বাড়িতে এসে খিচুড়ির হাড়ি উল্টিয়ে সব মাটিতে ফেলে দিয়ে চালে যায়।

তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা (কাজী জাফর উল্যাহ) বলেছেন, কোনো ঝামেলায় না যেতে। এ জন্য আমরা কোনো প্রতিরোধ করিনি।’

নিক্সনের সমর্থক ঘারুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনসুর মুন্সী এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রশিদপুরা গ্রামে আজ (গতকাল) সন্ধ্যায় এ জাতীয় কোনো ঘটনাই ঘটেনি। কেউ যদি এ জাতীয় কোনো অভিযোগ করে থাকেন তবে তিনি মিথ্যা কথা বলেছেন।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, এ ঘটনায় আজ শনিবার ঘারুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনসুর মুন্সীসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করে ভাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন ফিরোজ মাতুব্বর। অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।