বিজয়ের সুফল পেতে সমাজ বদলের রাজনীতি ও সংস্কৃতি চাই
মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ দীর্ঘ পনেরো বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। তাদের আমলে জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে। সামনে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। ফলে এই আমলে মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার কতটা বাস্তবায়িত হলো, তা ভেবে দেখা দরকার।
মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের মাত্র নয় মাসের মধ্যে প্রণীত সংবিধানে রাষ্ট্রের যে চারটি মূলনীতি ঘোষিত হয়েছিল, তার ভিত্তি ছিল বাঙালির দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামে উত্থাপিত বিভিন্ন দাবির সিনথেসিসÑ গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও সমাজতন্ত্র।
উপর্যুক্ত চারটি অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন ছিল উপযুক্ত রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বাতাবরণ। তাই আজ মূল্যায়ন করতে বসে যদি দেখা যায় যে, স্বাধীনতার সূচনায় উচ্চারিত অঙ্গীকারসমূহ অপূর্ণ রয়েছে, তার দায় কেবল রাজনৈতিক নয়, সাংস্কৃতিকও। এখন প্রশ্ন হলো, এই রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক বাতাবরণটি কেমন হওয়ার কথা? এক কথায় বলা যায়, গণতান্ত্রিক, যে গণতন্ত্রের শর্ত হলো পরমতসহিষ্ণু উদার মানবিক সমাজ। ফলে ধর্মান্ধতা ও স্বৈরাচার যেমন, তেমনি শোষণ-বৈষম্যপীড়িত অমানবিক অর্থনীতিও এ ক্ষেত্রে চলতে পারে না। স্বাধীনতার পরে উচ্চাভিলাষী রাজনীতির অসহিষ্ণু তৎপরতা, পরাজিত শক্তির হীন ষড়যন্ত্র এবং ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা ও বিভ্রান্তিÑ সব মিলে গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত রাজনৈতিক শক্তি রাষ্ট্রক্ষমতায় ফিরে আসে। এভাবে ছয়ের দশকে মূলধারা হিসেবে বিকশিত অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতিচেতনার শিখাটিকে ঘিরে ধরে অবক্ষয়ের অন্ধকার।
বিএনপি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচিত হলেও দলের সাংগঠনিক ব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক চিন্তাধারা ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক ও প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তায় লালিত। আবার এই সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমাজতন্ত্র ও প্রগতিশীলতার অবক্ষয়, ধর্মীয় রক্ষণশীলতা ও জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে। এমন প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রশক্তি এবং রাজনীতির পশ্চাদপসরণের ছাপ পড়েছে সমাজে, রাজনৈতিক অঙ্গনে। খোদ আওয়ামী লীগের মধ্যেও নানা বিভ্রান্তি বিকার ঢুকে পড়েছে। তদুপরি ক্ষমতা সংহত করতে গিয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আপস করতেও দেখা গেছে। আর বামপন্থি রাজনৈতিক দল ও প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির শিখাটি ক্রমে ক্ষয় পেয়ে সমাজজীবনে প্রভাব বিস্তারে অক্ষম হয়ে পড়েছে।
২.
কিন্তু রাজনৈতিক এই নেতিবাচক চিত্র দেখে সংস্কৃতির প্রসঙ্গেও একই ফলাফল অবশ্যম্ভাবী ভাবার কারণ নেই। কারণ এ দেশে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির অভিযাত্রা তো বরাবরই চলেছে প্রতিকূলতার মধ্যে, উজান স্রোতে নাও বেয়ে। গত শতাব্দীর পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে প্রায় দোর্দণ্ড প্রতাপে আইয়ুবীয় সামরিক শাসনের মধ্যেই বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনায় পূর্ব পাকিস্তানে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছিল। বাঙালির মনে, মননে ও মানসে উšে§াচিত হয়েছিল বাঙালির চিরায়ত অসাম্প্রদায়িক মানবতাবাদী চেতনা। ১৯৫১ থেকে ১৯৫৪ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় সাড়া জাগানো সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন; এর পর পরই ১৯৫৭-য় অনুষ্ঠিত কাগমারি সম্মেলন, ’৬১-র রবীন্দ্র শতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালা এবং এর পরে বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো নানা উপলক্ষে আয়োজিত জয়ন্তী, সম্মেলন, উৎসব মিলে সেদিনের পূর্ব পাকিস্তান অসাম্প্রাদায়িক বাঙালি সংস্কৃতির জোয়ারে ভাসছিল। একুশে ফেব্রুয়ারি ও পহেলা বৈশাখ হয়ে উঠেছিল বাঙালির জাগরণ ও
মিলনের উপলক্ষ। এই উদ্দীপ্ত জাগ্রত জনতাকে প্রায় অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জাদুকরী নেতৃত্ব। ফলে বলা যায়, সেদিন রাজনীতি ও সংস্কৃতি হাত ধরাধরি করে চলেছিল এবং এর ফল হয়েছিল চমৎকার। সব বিভ্রান্তি কাটিয়ে বাঙালি মুসলমান ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদ থেকে ভাষাভিত্তিক অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদী চেতনায় জেগে উঠেছিল। এরই ফল ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচনের বিজয় এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ।
৩.
কিন্তু এর পর কথা উঠবে, এ অর্জনকে আমরা ধরে রাখতে পারলাম না কেন? কেন ফিরে পাকিস্তানি ভাবধারার ধর্মভিত্তিক জাতীয়তার রাজনীতি এ দেশে শিকড় খুঁজে পেল?
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পর রাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে এ অঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে একই ধর্মাবলম্বী পশ্চিমা শাসকদের সঙ্গে নিজের স্বাতন্ত্র্য চিহ্নিত করতে হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে এ স্বাতন্ত্র্যকে জোরদার করার জন্য আত্মপরিচয়ের সন্ধান করে তার চর্চাও করতে হয়েছে। এভাবে পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে পূর্ববাংলায় বাঙালির সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটতে দেখি আমরা। সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন একে বাঙালি মুসলমানের রেনেসাঁস হিসেবে আখ্যায়িত করেছেনÑ আকারে ও প্রভাবে সীমিত হলেও।
এবার লক্ষ্য করলে আমরা দেখব, এই জাগরণের যে প্রকাশ, তা ঘটেছিল প্রধানত সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে- মঞ্চে, অনুষ্ঠানে, বিশেষ দিনে, বক্তৃতায়, গানে-নাটকে এবং অবশ্যই লেখায়। এ কর্মকাণ্ড যতটা বহিরঙ্গের ততটা অন্তরঙ্গের নয়, অর্থাৎ যতটা ক্রিয়াকর্মের মাধ্যমে প্রকাশ পায়, ততটা বিশ্বাসে ও ভাবনায় লালিত হয় না। লেখার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত বিশ্বাসের প্রশ্ন জড়িত আছে, কিন্তু লেখক তো মুষ্টিমেয় কয়েকজন। তাদের ভাবনার প্রভাব মানুষের বহিরঙ্গের ক্রিয়াকলাপে যতটা প্রকাশ পেয়েছে, তার ছাপ অন্তরের ভাবলোকে ততটা গভীরভাবে পড়েছে বলে মনে হয় না। বিশেষত বহুকালের প্রচলিত ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কারের সঙ্গে সামান্য দ্বন্দ্বের ক্ষেত্রেও ভাবনার পুনর্মূল্যায়ন ও নবায়নের তাগিদ অনুভূত হতে দেখা যায়নি। ফলে পঁচাত্তরের পরে রাষ্ট্রশক্তি যখন ধর্মভিত্তিক জাতীয়তার খাতেই আবার প্রবাহিত হতে থাকল তখন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামি সংস্কৃতির নামে সাংস্কৃতিক বিভ্রান্তির সূচনা হয়। এই বিভ্রান্তি আরও জোরদার হয় বিশ্বায়নের সূত্রে পাশ্চাত্যে ভাষা-সংস্কৃতির আগ্রাসনে। তার আগে থেকেই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠাপোষকতা পেয়ে জামায়াতসহ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী শক্তিসমূহ দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সমাজের কৌশলগত গুরুত্বের স্থানসমূহে নিজেদের অবস্থান শক্ত করে নেয়। রাষ্ট্র ও সমাজ উভয়েরই পিছু হটা শুরু হলো সেই থেকে। বর্তমান সংস্কৃতির সংকট প্রায় সাংস্কৃতিক দেউলিয়াত্বে গিয়ে ঠেকেছে। সমাজের এই উল্টোযাত্রার সঙ্গে অনায়াস আপসই স্পষ্ট করে দেয় আমাদের অগ্রযাত্রার প্রক্রিয়াটির দুর্বলতা। আগেই আমরা বলেছি, সে সময়ের কর্মকাণ্ড সমাজের বহিরঙ্গের সাংস্কৃতিক কার্যক্রমকে ভেদ করে ব্যক্তির অন্তর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি। কেন পারেনি, সেটাই এখন ভাবার বিষয়।
৪.
মোদ্দা কথা হলো, পশ্চিমের আলোকন (enlightenment)এবং তার পরবর্তী শিল্পবিপ্লবের পরে এ দুইয়ের প্রভাব থেকে কোনো সমাজের পক্ষেই দূরত্ব রক্ষা করে বা গা বাঁচিয়ে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হয়নি। আমরাও এর প্রসাদ নিয়েছি, কিন্তু আমাদের চিরায়ত বিশ্বাস ও সংস্কারের সঙ্গে সংঘাত-বৈপরীত্য নিয়ে কোনো তাত্ত্বিক আলোচনা-বিতর্কে যাইনি। ফলে সমাজে অন্ধবিশ্বাস ও বদ্ধচিন্তার অনেক ফাঁদ তৈরি হয়েছে। বলা যায়, মুসলিম সমাজে যুগোপযোগী সংস্কার আন্দোলন হয়নি।
এ প্রসঙ্গে ফরাসি বিপ্লবের কথা মনে পড়ছে। এই বিপ্লবে কেবল সরকার পরিবর্তনই লক্ষ্য ছিল না বিপ্লবীদের। তারা নাগরিক অধিকারের ঘোষণা যেমন দিয়েছিল, তেমনি পুরনো জমানা খতম করে নতুন জমানার সূচনা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিল। রাষ্ট্রবিপ্লব হিসেবে ফরাসি বিপ্লব ব্যর্থ হলেও সমাজ পরিবর্তনের বিপ্লব হিসেবে এর সার্থকতা অনস্বীকার্য। ইউরোপের ইতিহাসে সমাজে এবং রাষ্ট্রব্যবস্থায় ধীরে ধীরে ফরাসি বিপ্লবের চেতনা ও শিক্ষাই প্রভাবক ভূমিকা নিয়েছে। ফলে এর পরে একদিকে জাতিরাষ্ট্রের উদ্ভব ত্বরান্বিত হয়েছে, গণতন্ত্রের বিকাশ হয়েছে, রাষ্ট্রব্যবস্থা ধর্মনিরপেক্ষ হয়েছে আর অন্যদিকে শিল্প-সাহিত্যে রাজা ও অভিজাত শ্রেণির পরিবর্তে সাধারণ মানুষের ভূমিকা মুখ্য হয়ে উঠেছে। এভাবে ইউরোপে পুরনো অভিজাততান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার অবসান হয়ে আধুনিক নাগরিক সমাজের বিকাশ ঘটেছে।
আমরা রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেক বিপ্লবী কাজ করেছি- কী পাকিস্তান, কী বাংলাদেশে সামরিক স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি, ধর্মান্ধ প্রতিক্রিয়াশীল রাষ্ট্র পাকিস্তানকে প্রত্যাখ্যান করে দেশ স্বাধীন করেছি, কিন্তু তথাপি এ অঞ্চলে সমাজবদলের কাজ হয়নি। এর কারণ ধর্মসংস্কার ও সমাজসংস্কারসহ দেশে সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটানো সম্ভব হয়নি। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে যে রেনেসাঁসের কথা আগে বলেছি, তার প্রভাব চিন্তার জগতে সীমিতভাবে দেখা যায়, আর যা ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হয় তা বহিরাঙ্গিক ক্রিয়াত্মক সাংস্কৃতিক কাজকর্মে সীমাবদ্ধ। সংকটটা অন্য একটি কারণেও ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বর্তমান প্রযুক্তির প্রভাবে মানুষের বিনোদন-সংস্কৃতি সম্পূর্ণতই প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়েছে। এতে সাংস্কৃতিক কাজে অধিকাংশ মানুষ অংশগ্রহণকারী থেকে ভোক্তায় রূপান্তরিত হচ্ছে। ব্যক্তি ও সমাজের সাংস্কৃতিক সক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। বাংলা ভাষার দাবি থেকে যে বাংলাদেশের উদ্ভব, সেদেশে আজ বাংলা দুয়োরানি, ইংরেজির কৌলীন্য ও দৌরাত্ম্যে সে কোণঠাসা, ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে যে গৌরববোধ তা পোশাকি এবং মেকি হয়ে পড়ছে। একদিকে এই মেকির দৌরাত্ম্য আর অন্যদিকে ধর্ম নিয়ে বিভ্রান্তি, বাড়াবাড়ি এবং তৃতীয় ফ্রন্ট প্রযুক্তির সর্বগ্রাসী প্রভাব মিলে জনমানুষের বড় অংশ ধীরে ধীরে সাংস্কৃতিক উদ্বাস্তুতে রূপান্তরিত হচ্ছে।
এর মধ্যে কোনো ব্যক্তি কিংবা কোনো গোষ্ঠীর প্রয়াসে শিল্পের উচ্চমান ও মাত্রা ছোঁয়ার ঘটনা ঘটতে পারে, ঘটছেও। ভালো সাহিত্য, ভালো গান, ভালো নাটক হচ্ছেÑ কিন্তু তা বিচ্ছিন্ন ঘটনা, উপযুক্ত রসিকজনের অভাব বুঝিয়ে দেয় যে সমাজব্যাপী সাংস্কৃতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
এখানে মুক্তমনে মুক্তচিন্তার মাধ্যমে সব বিষয়কে যাচাই ও তার পর বাছাইয়ের সুযোগ যেন কম। জার্মান দার্শনিক ইমানুয়েল কান্ট তার Enlightenment গ্রন্থে বলেছেন, সেই সমাজই পরিণত ও প্রাজ্ঞ যে সমাজ স্বাস্থ্যকর সংশয় (healthy skepticism) প্রকাশের অবকাশ রাখে। সংশয় থেকে কৌতূহল, তা থেকে জিজ্ঞাসা, তার পর জানা এবং সেই জ্ঞানকে সম্বল করে নতুন অবস্থানে পৌঁছানো সম্ভব। আমাদের সাংস্কৃতিক বাতাবরণ যেন ততটা জীবনমুখী ও ততটা পুষ্ট ও সৃজনক্ষম নয়। ফলে আমাদের রাজনৈতিক সংগ্রামের যে অর্জন, তার ফসল পেতে হলে জরুরি ও আশু করণীয় হলো দেশে সমাজসংস্কার ও সাংস্কৃতিক বিপ্লবের জন্য কাজ করা। সে কাজ রাজনৈতিক অঙ্গনেও চলবে। তবে সমাজ ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রেই আবাদের কাজ জোরেশোরে চালাতে হবে। এ কাজ বাদ দিয়ে বা ফাঁকি দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।
লেখক : কবি, প্রাবন্ধিক এবং সম্পাদক, আমাদের সময়