ঢাবিতে ছাত্র ইউনিয়নের দুই নেতাকে মারধর

ঢাবি প্রতিবেদক
১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯:৫৪
শেয়ার :
ঢাবিতে ছাত্র ইউনিয়নের দুই নেতাকে মারধর
ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ছাত্র ইউনিয়নের দুই নেতার ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। হামলায় সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মেঘমল্লার বসু ও সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ গুরুতর আহত হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাবি ক্যাম্পাসে আলাদা আলাদা স্থানে এই ঘটনা ঘটে। ছাত্র ইউনিয়ন নেতাকর্মীদের দাবি ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারীরা এই হামলার সঙ্গে জড়িত।

জানা যায়, আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মিরপুর স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফেরার পর হাকিম চত্বর ও শাহবাগে ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষাঙ্গনে স্বৈরাচারী সন্ত্রাসের অবসানে সর্বাত্মক গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তাৎক্ষণিক বিবৃতি দেয় ছাত্র ইউনিয়ন।

সংগঠনটির দাবি, ছাত্রলীগের পৈশাচিক হামলায় সংগঠনের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মেঘমল্লার বসুর চোখে ধারাল কিছু ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। গুরুতর আঘাতে ঢাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক মাইন আহমেদের মাথা ফেটে গেছে। এ ছাড়া তাহমিদ শুভ্র, শাহরিয়ার শিহাব ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেন।

হামলার বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ফুল দিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরে টিএসসিতে বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীসহ চা খাওয়ার সময়ই ছাত্রলীগের তানভির হাসান সৈকতপন্থী সন্ত্রাসীরা আমাদের দিকে আক্রমণাত্মক দৃষ্টিতে তাকাচ্ছিল। তারপর আমরা আলাদা হয়ে যে যার গন্তব্যে যাওয়া শুরু করি। সে সময় রিকশায় ওঠার সময় ডাসের কর্ণারে দুই কিংবা তিনটা মোটরবাইকে করে এসে রিকশা থামিয়ে ওরা আমার ওপর আক্রমণ করে। রিকশা থেকে নামিয়ে আমাকে বেশ কিছুক্ষণ মারার পর লোকজন জড়ো হবার পর ওরা চলে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘একই সময় শাহবাগে ঢাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসুর ওপর ছাত্রলীগ কর্মীরা হামলা করে এবং গুরুতর আহত করে। মেঘমল্লার বসুর বাম চোখ গুরুতর আক্রান্ত হয়।’

হামলার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। তিনি বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। ঘটলে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তা জানতে পারতাম। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছিঁড়ে ফেলায় ছাত্র ইউনিয়নের ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ হাজার শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে ক্ষোভে ফুলে ফেঁপে উঠেছে। তাই অনতিবিলম্বে এ ঘটনার জন্য তাদেরকে ক্ষমা না চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরাও তাদেরকে নিরাপত্তা দিতে পারব না।’