মালয়েশিয়ায় বৈধ হওয়ার সুযোগ শেষ হচ্ছে ৩১ ডিসেম্বর

মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:৪৪
শেয়ার :
মালয়েশিয়ায় বৈধ হওয়ার সুযোগ শেষ হচ্ছে ৩১ ডিসেম্বর
ছবি : সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ শেষ হচ্ছে চলতি মাসের ৩১ ডিসেম্বর। এর মধ্যেই বৈধতার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে দেশটিতে বসবাসরত অবৈধ প্রবাসীদের। দেশটির অভিবাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে যারা অবৈধ বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ দিচ্ছেন এবং নথিভুক্ত নিশ্চিত করতে প্রোগ্রামের সঙ্গে নিবন্ধন করার জন্য এগিয়ে আসবেন সেসব নিয়োগকর্তাদের জন্য ওয়ার্কফোর্স রিক্যালিব্রেশন (আরটিকে ২.০) কর্মসূচি একটি সুযোগ।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া আরটিকে ২.০ কর্মসূচির মাধ্যমে বৈধ হতে আবেদন করেছেন সাত লাখেরও বেশি অবৈধ অভিবাসী। করোনা পরবর্তীতে দেশটির পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে জনবলের চাহিদা পূরণে সরকারের দেওয়া এই কর্মসূচির অধীনে বৈধ হতে নাম নিবন্ধন করেছেন তারা। এটি শেষ হবে চলতি মাসের ৩১ ডিসেম্বর। এর মধ্যেই নিয়োগকর্তাদের বিদেশি কর্মীদের নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। যারা নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন, তাদের নিয়োগকর্তাদের ইমিগ্রেশন কাউন্টারে কর্মীদের যাচাই প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ বলেছেন, ‘দেশটিতে যে নিয়োগকর্তারা আরটিকে প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ গ্রহণ করবেন না এবং নথিপত্র নেই এমন কর্মী নিয়োগ করবেন তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। এ ছাড়া দেশটির ইমিগ্রেশন আইন ও রেগুলেশনস অ্যান্ড পাসপোর্ট আইন অনুযায়ী নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মীর সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশ দ্বিতীয়স্থানে থাকলেও রিক্যালিব্রেশন প্রক্রিয়ার আওতায় প্রথম স্থানে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ।

বৈধতার মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না এবং এ কর্মসূচির আওতায় কতজন বাংলাদেশি নিবন্ধন করেছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর বলেন, ‘আমরা ৩১শে ডিসেম্বরের সময়সীমা সম্পর্কে সচেতন। তবে, আগের মতো এ সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে। আমরা সাম্প্রতিক এই বিষয়টি ইমিগ্রেশন, স্বরাষ্ট্র এবং মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে উত্থাপন করেছি এবং তারা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। তারা আরও সময় বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। আরটিকে ২.০ কর্মসূচিতে কতজন বাংলাদেশি সুযোগ গ্রহণ করেছেন এবং নিয়মিত হয়েছেন তার সঠিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।’