টিকে গেলেন মিরসরাইয়ের স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন
নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানির প্রথম দিনেই প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
আজ রবিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দেওয়া মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি। নির্বাচন কমিশন মিলনায়তনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চার কমিশনার আপিল শুনানি করছেন।
এদিকে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েই আওয়ামী লীগের প্রার্থী রুহেলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস।
এর আগে, গত ৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের মধ্যে ত্রুটিপূর্ণতার অভিযোগে মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফিরে পাওয়ার পর গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘আমি প্রথম ধাপে ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমি চাই ভোটের মাধ্যমে মানুষ তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করুক। মিরসরাইবাসীর ভোটের অধিকার নিশ্চিত করলে আমার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। চট্টগ্রাম-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি এখানকার মানুষের ভালোবাসা এবং তাদের অনুরোধে। আমি বিশ্বাস করি মিরসরাইয়ের আপামর জনসাধারণ আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করবেন।’
গিয়াস উদ্দিনের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেন, ‘আমি আশা করছি নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে। জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন এবং এ নির্বাচনে জনগণের আশার প্রতিফলন ঘটাতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনে মোট আটজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেনের ছেলে মাহবুব উর রহমান রুহেল। তার সঙ্গে গিয়াস উদ্দিনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বলে এলাকায় এমন আলোচনা চলে আসছে।
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের ১০টির রিটার্নিং কর্মকর্তা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। আর নগর ও নগরসংলগ্ন বাকি ছয় আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম।
আজ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন আপিল শুনে সিদ্ধান্ত দেবে। ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ পাবেন প্রার্থীরা। আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর চূড়ান্ত প্রার্থীর সংখ্যা জানা যাবে।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর আর তার তিন সপ্তাহ পর ৭ জানুয়ারি হবে ভোটগ্রহণ।
আরও পড়ুন:
সাকিবকে নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের