এমপি হয়ে কোটি টাকার গাড়ি কিনেছেন আবদুস সোবহান
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবদুস সোবহান মিয়া। ওইবারের নির্বাচনী হলফনামায় পেশা হিসেবে তিনি ব্যবসায়ী ও রাজনীতি উল্লেখ করেছিলেন। তবে এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় পেশা শুধুমাত্র রাজনীতি উল্লেখ করেছেন। শুধু তাই নয়, গতবার নিজের কোনো গাড়ি না থাকলেও এবারের হলফনামায় একটি টয়োটা হ্যারিয়ার জিপ দেখিয়েছেন। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৯০ লাখ ৬৪ হাজার ২৪৭ টাকা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবদুস সোবহান মিয়ার হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়। হলফনামায় স্ত্রী ও নিজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিবরণী পেশ করেন তিনি। সেখানে দেখা যায়, এমপি হওয়ার আগে ২০১৮ সালে তার কোনো গাড়ি ছিল না, এমপি হয়ে কিনেছেন কোটি টাকার গাড়ি। বর্তমানে তার একটি টয়োটা হ্যারিয়ার জিপ রয়েছে, যার বাজার মুল্য উল্লেখ করা হয়েছে ৯০ লক্ষ ৬৪ হাজার ২৪৭ টাকা। ২০১৮ সালে তার নিজের নামে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল ৩৩ লাখ ৬২ হাজার ৪১৭ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ছিল ৫১ লাখ ৯ হাজার ৬৯০ টাকা। বর্তমানে তার জমা অর্থের পরিমাণ ১ কোটি ৪৫ লাখ ৩ হাজার ৯৩১ টাকা এবং তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ২৮ লাখ ১৮ হাজার ৫৩৮ টাকা।
তিনি ২০১৮ সালের হলফনামায় পেশা ব্যবসা ও রাজনীতি উল্লেখ করলেও ২০২৩ সালের হলফনামায় বর্তমান পেশা উল্লেখ করেছেন রাজনীতি। ২০১৮ সালে তার নগদ টাকা ছিল ৭৯ লাখ ৬৫ হাজার ২৬৬ টাকা এবং স্ত্রীর গুলশান আরার নামে ছিল ১ কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ১৩১ টাকা। বর্তমানে তার নগদ টাকা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ২৮ হাজার ৬১৪ টাকা। স্ত্রীর নামে নগদ টাকা রয়েছে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৬৫ হাজার ১৩ টাকা। ২০১৮ সালের হলফনামা মোতাবেক তার স্ত্রীর কাছে ৯৮ হাজার ১১৮ ইউএস ডলার থাকলেও চলতি বছরে তার কাছে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা নেই।
অপরদিকে, তার নামে ২০১৮ সালে বন্ড, ঋণপত্র, স্টক একচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার ছিল ২ কোটি ৬৮ লাখ ৬৯ হাজার ৩৭২ টাকার এবং স্ত্রীর নামে ৫ কোটি ৮৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকার। ২০২৩ সালে কোম্পানির শেয়ার রয়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬৯২ টাকার এবং স্ত্রীর নামে রয়েছে ৫ কোটি ৮৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকার। এছাড়াও মিরপুর এবং উত্তরাতে তার দুটি দালান রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মাদারীপুর-৩ নির্বাচনী এলাকা (কালকিনি ও ডাসার উপজেলা ও মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত)। আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ নামে বেশি পরিচিত।
