সম্পদের পাশাপাশি দেনাও বেড়েছে শামীম ওসমানের

এমরান আলী সজীব নারায়ণগঞ্জ
০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
শেয়ার :
সম্পদের পাশাপাশি দেনাও বেড়েছে শামীম ওসমানের

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী টানা দুইবারের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য শামীম ওসমান গত দশ বছরে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ছয়টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছেন। এ সময় তার আয় বেড়েছে, কিনেছেন দুটি গাড়ি ও জমি। তবে এ সময় তার দেনাও বেড়েছে। বর্তমান ও বিগত হলফনামা বিশ্লেষণ করে জানা যায়, বর্তমানে শামীম ওসমানের বার্ষিক আয় ৭৯ লাখ টাকা, যা ১০ বছর আগে ছিল ২৭ লাখ টাকা। গত দশ বছর আগে শামীম ওসমানের ঋণ ছিল ১৩ কোটি ৮৮ লাখ ৭ হাজার ৮১৭ টাকা। বর্তমানে তার ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ৬ লাখ ১২ হাজার ৩৭৬ টাকা। এর মধ্যে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু অনুপ কুমারের রয়েছে ২৬ লাখ টাকা, যা তিনি গত দশ বছরেও শোধ করেন নাই।

২০১৪ সালে শামীম ওসমানের বাড়ি ভাড়া, ব্যবসা, সঞ্চয়পত্র বা আমানতের সুদসহ বিভিন্ন খাতে আয় ছিল ২৭ লাখ ৪৩ হাজার ৮২৭ টাকা। ২০১৮ সালে একই খাতে (সংসদ সদস্য হিসেবে সম্মানী ভাতা যুক্ত) আয় বেড়ে দাঁড়ায় ৬৩ লাখ ৩ হাজার ৬৭০ টাকা। ২০২৩ সালে এই আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯ লাখ ৭ হাজার ৪৯৩ টাকা। ১০ বছর আগে তার স্থাবর সম্পত্তি ছিল ৪ কোটি ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪৯২ টাকার। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার ৫ বছর পর ২০১৮ সালে তার অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১০ কোটি ৬০ লাখ ৭৪ হাজার ৮৩৯ টাকায়। ২০১৪ সালে শামীম ওসমানের কোনো গাড়ি ছিল না। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি ৫৬ লাখ ৯৩ হাজার টাকা মূল্যের টয়োটা ল্যান্ডকুজার নামে একটি গাড়ি কেনেন, যা ২০১৮ সালের হলফনামায় উল্লেখ করেন তিনি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর ৮১ লাখ ৭৬ হাজার টাকার একই মডেলের আরেকটি গাড়ি কেনেন তিনি।

১০ বছর আগে শামীম ওসমানের স্থাবর সম্পদের তালিকায় ১০ শতাংশ জমি, ১৬ শতাংশ জমির ওপর দোতলা আবাসিক বাড়ি, হেবাসূত্রে ৯ কাঠা জমি ছিল। ২০১৮ সালের হিসাব অনুযায়ী, সোনারগাঁওয়ের বারদী ইউনিয়নে ১২৩ শতাংশ এবং পূর্বাচল নিউ টাউনে ১০ কাঠা জমি কেনেন তিনি।