নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলোতে জীবজন্তু ছাড়া ভোটার পাওয়া যাবে না: মিনু
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, এবার নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলোতে জীবজন্তু ছাড়া ভোটার পাওয়া যাবে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে যে চিত্র দেখা গিয়েছিল, তারই পুনরাবৃত্তি হবে। পেটো বাহিনীর দমন-পীড়নের কারণে জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে না। যে নির্বাচনে ভোটার থাকে না, সেটি নির্বাচন নয়।
আজ শনিবার বেলা ১১টায় রাজশাহী মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে পুলিশের মিথ্যে মামলা ও গ্রেপ্তার এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভাঙচুর ও পরিবারের লোকজনের অন্যায় আচরণের প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলাও গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্য তুলে ধরে মিনু জানান, সম্প্রতি ৪৬টি মামলায় এক হাজার ২৭১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে মহানগর এলাকায় ৩৫টি এবং জেলায় ১১টি মামলা হয়েছে। গত ২/৩দিনে আরও মামলা এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দেড় হাজার।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, ‘বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এই ফ্যাসিবাদী সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে রাজশাহী জেলা, মহানগর ও সারাদেশের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের বিনা কারণে গ্রেপ্তার করে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। বিশেষ করে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিরসহ ত্রাণ ও খাদ্য বিষয়ক সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জননেতা আবু সাঈদ চাঁদ, রাজশাহী জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম মার্শাল, জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির অন্যতম সদস্য মনিরুজ্জামান শরীফ, রাজপাড়া বিএনপির সাবেক সভাপতি শওকত আলী, শাহমুখদুম থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জল, মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রবি এবং রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাকসুদুর রহমান সৌরভসহ রাজশাহী মহানগরীর সব থানা ও ওয়ার্ড এবং রাজশাহী জেলার সকল উপজেলা, পৌর ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। ’
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মিজানুর রহমান মিনু বলেন, রাজশাহী জেলা পুলিশ ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্মকর্তাদের ভূমিকা রহস্যজনক মনে হচ্ছে ও বিচিত্রময় মনে হচ্ছে। তারা জনগণের গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক অধিকারকে যেভাবে অত্যাচার নির্যাতন নিপীড়নের মাধ্যমে গ্রেপ্তার মামলা এবং জেল দিয়ে ঠেকাতে চাচ্ছেন তারা মনে হচ্ছে, দেশের জনগণ তাদের কাছে শত্রু। তাদেরকে পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই, পুলিশ বাহিনী রাষ্ট্রের বাহিনী। তারা কোনো দলের বাহিনী নয়। তিনি অবিলম্বে পুলিশি হয়রানির বন্ধের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ইশা ও জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার।