ইসলামে চার কালেমার তাৎপর্য
কালেমা, নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাত- এ পাঁচটি বিষয়কে ইসলামের স্তম্ভ বলা হয়। এ পাঁচটি স্তম্ভের দিকে তাকালেই আমরা ইসলামের সৌন্দর্য খুঁজে পাব। আল্লাহতায়ালা মুমিনদের জন্য এ পাঁচটি স্তম্ভ প্রতিপালন ফরজ বা অত্যাবশ্যক করেছেন।
এই পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অবশ্য হজ ও জাকাতের বিধান শুধু বিত্তবানদের জন্য ফরজ। কালেমা পাঠ, নামাজ এবং রোজা ধনী-গরীব সবার জন্যই ফরজ।
কালেমা পাঠের মানে হলো- আল্লাহ ও তার বিধানের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন এবং তা পালন করে চলার অঙ্গীকার। প্রতিটি মুসলমানকে অবশ্যই চার কালেমা পাঠ করতে হবে। তবে তা প্রতিদিন পাঠ করতে হবে কিনা, কিংবা কতবার পাঠ করতে হবে, সেরকম কোনো বিধান নেই। যতো বেশি কালেমা পাঠ করা যায়, ততো বেশি দ্বীনদার হয়ে ওঠা যায়।
আল্লাহতায়ালা ইসলামের পাঁচটি প্রধান স্তম্ভের মধ্যে প্রথমে শুধু কালেমা ফরজ করেছিলেন। নবীকরিম হজরত মোহাম্মদ (সা.) তার নবুয়তি জীবনের ২৩ বছরের মধ্যে প্রথম ১২ বছরই কালেমা প্রচারে ব্যয় করেছেন। ইসলামের দৃষ্টিতে কালেমা হলো সর্বোত্তম জিকির।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সর্বোত্তম জিকির হলো- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং উত্তম দোয়া হলো- আলহামদুলিল্লাহ। (জামে তিরমিজি : ৩৩৮৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন, ‘যদি সপ্তাকাশ ও তাতে অবস্থিত সব কিছু ও সাত জমিন এক পাল্লায় রাখা হয় এবং লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুকে এক পাল্লায় রাখা হয়, তবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহের পাল্লা অধিক ভারী হবে। (সহিহ ইবনে হিব্বান)
কালেমার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে ও এর ওপর বিশ্বাস নিয়ে মৃত্যুবরণ করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে। (সহিহ বোখারি : ৫৮২৭
)এবার চার কালেমায় চোখ রাখা যাক-
কালেমা তাইয়্যেবা:
আরও পড়ুন:
কোন সময় দোয়া করলে বেশি কবুল হয়?
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللهِ
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।
অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল।
কালেমা শাহাদাত:
أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
উচ্চারণ: আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান 'আব্দুহু ওয়া রাসুলুহু।
অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি এক ও অদ্বিতীয়, এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সা.) তাঁর বান্দা ও রাসুল।
আরও পড়ুন:
হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ল ২১ দিন
কালেমা তাওহিদ:
لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ نُورٌ يَهْدِيْ اللهُ لِنُوْرِهِ مَنْ يَشَاءُ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللهِ إِمَامُ الْمُرْسَلِيْنَ خَاتَمُ النَّبِيِّنَ
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লা আন্তা, নূরম ইয়াহদী আল্লাহু লিনূরিহি মান ইয়েশা'। মুহাম্মাদুন রাসুলুল্লাহি ইমামুল মুরসালীন খাতামুন নাবিয়্যীন।
অর্থ: আপনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই, আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছা তাকে তাঁর আলোর দিকে পথ দেখান। মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল, রাসুলদের ইমাম এবং শেষ নবী।
কালেমায়ে রেদ্দাত:
رَبِّ إِنيِّ أَسْأَلُكَ رِضَاكَ وَالْجَنَّةَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ سَخَطِكَ وَالنَّارِ
আরও পড়ুন:
চাঁদ দেখা কমিটির সভা কাল
উচ্চারণ: রাব্বি ইন্নী আসআলুকা রিদাকা ওয়াল জান্নাহ, ওয়া আ'উযু বিকা মিন সাখাতিকা ওয়ান-নার।
অর্থ: হে আমার রব, আমি আপনার সন্তুষ্টি ও জান্নাত প্রার্থনা করি এবং আপনার অসন্তুষ্টি ও জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাই।
আমাদের সসয়/ এইচও