‘এক শাকিবকে কেন্দ্র করে সিনেমা টিকবে না’
নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শাকিল খান। ১৯৯৪ সালে সিনেমায় তার পদার্পণ। ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’ দিয়ে জনপ্রিয়তার ছোঁয়া পান এই চিত্রনায়ক। টানা এক দশকেরও বেশি সময় দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত ছিলেন। তবে এখন শোবিজের বাইরে আছেন তিনি। অনেক আগেই পেছনে ফেলে এসেছেন রুপালি দুনিয়াকে।
সম্প্রতি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সিনেমা ছাড়ার কারণ জানান শাকিল খান। খোলামেলা স্বীকার করলেন, তার প্রধান উদ্বেগ ছিল সিনেমায় ক্রমে বাড়তে থাকা অশ্লীলতার প্রভাব।
নায়কের কথায়, ‘আমি তখন লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতাম, সিনেমাও ভালো ব্যবসা করছিল। কিন্তু আশপাশে অশ্লীলতার ছায়া দেখতে পেলাম; নিজেকে ওই স্পর্শে যেতে দিতে পারিনি। মানুষের সামনে আমার কী উত্তর থাকবে? সন্তানদের কী বলব? এ কারণে ক্যারিয়ারের শীর্ষ সময়ে চলচ্চিত্র ছেড়ে দিয়েছি।’
আরও পড়ুন:
স্ত্রীর কবরের পাশে পরীর নানা সমাহিত
শিল্পী সমিতির কর্মকাণ্ড নিয়েও কঠোর সমালোচনা করেন শাকিল খান। তিনি বলেন, ‘শিল্পী সমিতির নির্বাচন একটা ফালতু জিনিসে পরিণত হয়েছে। এটা এখন শিল্পীদের হাসির পাত্র। সমিতি আজ অর্থহীন রাজনৈতিক বর্জে পরিণত হয়েছে, যেখানে প্রকৃত শিল্পীদের উপেক্ষা করা হয়।’
বর্তমানে সিনেমার ‘সুপারস্টার’ তকমা দেওয়া নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন শাকিল খান। তিনি বলেন, ‘কারা আসলে সুপারস্টার? এখন তো যে কেউ নিজের নামের সঙ্গে তকমা লাগিয়ে নিচ্ছেন। আমার এক ঈদে ১৬টা সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল, তবু নিজেকে কখনো সুপারস্টার বলিনি। পুরোনো প্রজন্ম- শাবানা, রাজ্জাকরা এসব নিয়ে ভাবতেনই না।’
আরও পড়ুন:
গণভবনে ডাক পেলেন আ. লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা
চিত্রনায়ক শাকিব খানকে নিয়েও কথা বলেন শাকিল খান। তিনি বলেন, ‘শাকিব এখন জনপ্রিয়, কদর আছে- তাই নিচ্ছে। তবে কোটি টাকার ওপরে নেয়, এটা ঠিক নয়। আমার জানা মতে, অর্ধকোটি থেকেও কম পায়। আসল বিষয় পারিশ্রমিক নয়, চলচ্চিত্র বাঁচাতে সমষ্টিগত উদ্যোগ দরকার। এক শাকিবকে কেন্দ্র করে সিনেমা টিকবে না; আরো নতুন অভিনেতা তৈরি করতে হবে।’
বলা দরকার, কন্যা সামিকা, ছেলে সাদমান ও স্ত্রীকে নিয়েই শাকিল খানের সংসার। জানালেন, তার একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি আছে। এখন পরিবার ও ব্যবসায় পুরোপুরি মন দিয়েছেন এই চিত্রনায়ক।
আরও পড়ুন:
পাল্টে যেতে পারে আন্দোলনের ধরন
আমাদের সময়/ এসএ