জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারী নামে মামলা
জিজ্ঞাসাবাদের নামে নির্যাতনের অভিযোগে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মো. জাহাঙ্গীর নামে এক জুলাই যোদ্ধা। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর)ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুজ্জামানের আদালতে তিনি এ মামলার আবেদন করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ইলতুৎমিশ সওদাগর এ্যানি জানান, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে শাহবাগ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন, ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভেরিফিকেশন অফিসার ইফতেখার হোসেন, এক্সিকিউটিভ মেম্বার সাবরিনা আফরোজ শ্রাবন্তী, সাইদুর রহমান শাহিদ, সাগর, আফজালু রহমান সায়েম, সোনিয়া আক্তার লুবনা, ফাতেমা আফরিন পায়েল, আলিফ, মেহেদী হাসান প্রিন্স ও জাহিদ ।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়,২০২৪ সালে ১৮ জুলাই জুলাই আন্দোলনের সময় কাঁচপুর ব্রিজের ওপর আওয়ামী পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আক্রমণে গুলিবিদ্ধ হন বাদী। জুলাই ফাউন্ডেশন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে বিপ্লবী ও শহীদদের আত্মত্যাগে প্রতি ভালবাসা জানায়।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি
এরই ধারাবাহিকতায় মামলার বাদী গত ২৭ মে দুপুর ১২টার দিকে জুলাই ফাউন্ডেশনের অফিসে যায় এবং আসামিদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এরপর বাদীর নিজের অনুদান পাওয়ায় জন্য কিছু দালিলিক প্রমাণ দাখিল করে।
পরবর্তীতে আসামিরা বাদীকে জুলাই ফাউন্ডেশনে ১টি আলোবিহীন কক্ষে নিয়ে যায় এবং তারা বাদীকে জিজ্ঞাসা করে কিভাবে আহত হয়েছে? তখন বাদী জানান, আন্দোলনরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গেই আসামিরা বাদীকে মারধর শুরু করে। ১ নং আসামি (সাইদুর রহমান শাহিদ) তার হাতে থাকা জিআই পাইপ দিয়ে সজোরে বাদীর মাথায় বার বার আঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে বাদী সেখানেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
আরও বলা হয়,পরবর্তীতে বাদীর জ্ঞান ফিরলে আসামিরা পুনরায় তাকে মারধর শুরু করে এবং বাদী ভুয়া জুলাই যোদ্ধা এই স্বীকার করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। এসময় আসামিরা জোর করে বাদীর হাত থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে আবারও মারধর করতে থাকে। এরপর আসামিরা জোর করে মামলার বাদীর ডান হাতে একটি ইনজেকশন পুশ করে রাস্তায় অচেতন অবস্থা ফেলে দেয়। পরবর্তীতে মামলার বাদী অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসা গ্রহণ শেষে মামলাটি দায়ামলাটি দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ অক্টোবর একই অভিযোগে জুলাই যোদ্ধা বুলবুল শিকদার ফাউন্ডেশনের ১৩ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
আমাদের সময়/ টিটিএ