আশুলিয়ার ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
ঢাকার আশুলিয়ায় অবস্থিত ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে আশুলিয়া অঞ্চলের পাঁচটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়।
গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে অ্যালায়েন্স অব ইউনিভার্সিটিজ ইন আশুলিয়া (Alliance of Universities in Ashulia) নামে একটি জোট গঠিত হয়, যার মূল লক্ষ্য আশুলিয়াকে একটি হায়ার এডুকেশন সিটি হিসেবে গড়ে তোলা।
এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন প্রফেসর ড. ফরিদ আহমদ সোবহানী, ভাইস চ্যান্সেলর, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি; প্রফেসর ড. এম. আর. কবির, ভাইস চ্যান্সেলর, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্রফেসর ড. ইঞ্জি. মো. লুৎফর রহমান (অব.), ভাইস চ্যান্সেলর, সিটি ইউনিভার্সিটি; প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুর রব, ভাইস চ্যান্সেলর, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; এবং এমেরিটাস প্রফেসর ড. শাহজাহান খান, ভাইস চ্যান্সেলর, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারবৃন্দ সাক্ষী হিসেবে স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে অ্যাসোসিয়েশন অব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিজ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মো. সাবুর খান একটি ভিডিও বার্তা প্রদান করেন। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ এবং এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবুল হাসান এম. সাদেক। এছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার এবং ডিনরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষা, গবেষণা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং সমাজসেবামূলক কার্যক্রমে পারস্পরিক সহযোগিতার অঙ্গীকার করে। এতে যৌথভাবে সেমিনার, কনফারেন্স, ওয়ার্কশপ, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বিতর্ক, নেতৃত্ব ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচি আয়োজনের পথ সুগম হলো।
আরও পড়ুন:
ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগে তালা!
এছাড়া তারা মাদকমুক্ত ও নিরাপদ ক্যাম্পাস গঠনের প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করে এবং পরিবহন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশগত স্থায়িত্ব ইত্যাদি স্থানীয় সমস্যাগুলো সমাধানে সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়ার ব্যাপারে একমত পোষণ করে। ভাইস চ্যান্সেলরবৃন্দ প্রতিবছর একটি বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজনের বিষয়েও একমত হন, যেখানে অগ্রগতির পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
এই ঐতিহাসিক উদ্যোগটি বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার অঙ্গনে একটি নতুন মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। এটি পারস্পরিক উন্নয়ন ও একাডেমিক সহযোগিতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে এবং আশুলিয়াকে একটি সমন্বিত উচ্চশিক্ষা ও উদ্ভাবনের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হবে।