ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় রিমান্ডে
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় কর খোকনকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় দায়ের করা মামলায় আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে গুলশান এলাকা থেকে অজয় কর খোকনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হক মামুন সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আজ তাকে আদালতে হাজির করা হলে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি দেন।
আসামির আইনজীবী বলেন, ‘অজয় কর খোকনের নাম এজাহারে নেই। তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাতটি কারণ দেখিয়ে রিমান্ড চাওয়া হলেও তার কোনো কারণই খোকনের সঙ্গে মেলে না। তিনি ২০০০ সালের পর কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত নন এবং বর্তমানে অসুস্থ।’
আরও পড়ুন:
চীনা অ্যাপের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব মানুষ
আদালতের অনুমতি নিয়ে অজয় কর নিজেও বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগের নেতা থাকাকালে কখনো কোনো অন্যায় করিনি, কারও ক্ষতি করিনি। আমার বিরুদ্ধে এত বছরেও কোনো মামলা হয়নি। জুলাই আন্দোলনের সময় আমি বাসায় ছিলাম, বাইরে যাইনি। আমি আওয়ামী লীগের কোনো পদেও ছিলাম না। শুধু নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েছিলাম, কিন্তু পাইনি। আমি অসুস্থ।’
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, গত ২২ এপ্রিল সকালে গুলশান-১ এর জব্বার টাওয়ারের পাশে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের ব্যানারে ৩০–৩৫ জন ব্যক্তি বিক্ষোভ মিছিল করে। তারা দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে, বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে গুলশান থানায় এ বিষয়ে মামলা করা হয়।
উল্লেখ্য, অজয় কর খোকন ১৯৯৮–২০০২ মেয়াদে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ–৫ আসন থেকে দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন, তবে পাননি।