ইবিতে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে

ইবি সংবাদদাতা
০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:৪১
শেয়ার :
ইবিতে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ অভিযোগ করেছেন, ‘শেখ হাসিনার মতোই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও এখন অথর্ব হয়ে পড়েছে। শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডেও ফ্যাসিবাদের প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে। সেখানে রাখা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হারুন-উর-রশিদ আসকারীকে। যিনি বাংলা একাডেমির সাবেক চেয়ারম্যান এবং শেখ মুজিবুর রহমানের মুরাল নির্মাণে ৪৫ লাখ টাকা ব্যয় করেছিলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এ নিয়োগ বোর্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং প্রশাসনকে ফ্যাসিবাদী প্রভাবমুক্ত করার দাবি করছি।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার বিচার, খুনিদের গ্রেপ্তার এবং আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের নিয়োগ বোর্ড থেকে অপসারণের দাবিতে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের নিচে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, ‘আমরা গত ১৭ বছর ধরে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছি। ছাত্রলীগের হামলা, পুলিশি হয়রানি ও মিথ্যা মামলার মধ্য দিয়েও টিকে আছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী দুই শিক্ষার্থী ওয়ালী উল্লাহ ও মোকাদ্দাস গুম হয়েছেন। এছাড়াও অনেক নেতাকর্মী খুন হয়েছেন। অথচ প্রশাসন নির্বিকার। তারা শুধু এসি রুমে বসে ফ্যাসিবাদ কায়েম করছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাজিদ হত্যার বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা পুলিশের ওপর আস্থা রাখছি। তবে প্রশাসনকে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিচ্ছি—খুনিরা গ্রেপ্তার না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আমাদের নম্রতা যেন কেউ দুর্বলতা ভেবে ভুল না করে। প্রশাসন যদি ছাত্রদলকে ‘ড্যাম কেয়ার’ করে, আমরাও তাদেরকে ‘ড্যাম কেয়ার’ করব।”

আবাসিক হলের সিট বণ্টন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সিট বণ্টনে বৈষম্য বন্ধ করতে হবে। কিছু ধর্মতত্ত্ব কেন্দ্রিক বিভাগ সব সময় সিট পায়, অন্য ৩৩টি বিভাগের শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়। এছাড়া ৪১তম বিসিএসসহ সব পরীক্ষার্থীর জন্য বাস সুবিধা অব্যাহত রাখতে হবে এবং প্রতিটি হলে মানসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে হবে।’

অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্যসচিব মাসুদ রুমী মিথুন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবিব, আনারুল ইসলাম, সদস্য রাফিজ আহমেদ, নুরউদ্দিনসহ প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।