৬৯ দিন পর বাকৃবির পশুপালন অনুষদে পাঠদান শুরু
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) দীর্ঘ ৬৯ দিন পর পশুপালন অনুষদের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হয়েছে। কম্বাইন্ড (বি.এসসি ইন ভেট অ্যান্ড এএইচ) ডিগ্রি বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে প্রস্তাবিত ৩ ডিগ্রি (ডিভিএম, অ্যানিমেল হাজব্যান্ড্রি এবং ভেট অ্যান্ড অ্যানিমেল হাজব্যান্ড্রি) বিষয়টি সমাধান হওয়ায় শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ফিরেছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে অনুষদের একাডেমিক সময়সূচি অনুযায়ী শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হয়।
সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা দলে দলে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছেন। কারও কাঁধে ব্যাগ, কারও হাতে বই-খাতা। সবার মুখে হাসি। দীর্ঘদিন পর শ্রেণিকক্ষে ফিরতে পেরে তারা প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠেছেন। অনেকে বন্ধুদের সঙ্গে গল্পে মেতে উঠেছেন। এছাড়া শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে পাঠদান চলতে দেখা গেছে।
পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী শিবলী সাদি বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর শ্রেণিকক্ষে ফিরতে পারায় মিশ্র অনুভূতি কাজ করছে। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে, গল্প হচ্ছে, ভালোই লাগছে। তবে কিছুটা আশঙ্কাও রয়ে গেছে। দীর্ঘদিন অনুষদে তালা থাকায় অনেক শিক্ষক হয়ত ক্ষুব্ধ ছিলেন। তবু শিক্ষকরা আমাদের সন্তানের মতো মনে করেন, তাই আশা করছি শ্রেণিকক্ষে সব অভিমান কেটে যাবে।’
আরেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ বলেন, ‘এই ৩ মাসে ক্যাম্পাসে অনেক কিছু বদলে গেছে। নিস্তব্ধ ক্যাম্পাসে আবার প্রাণ ফিরে এসেছে। দীর্ঘদিন পড়াশোনা বন্ধ থাকায় সেশনজট নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল, তবে শ্রেণিকক্ষে ফিরেই সব দূর হয়ে গেছে। নতুন করে শুরু হয়েছে সেই সোনালী দিনগুলো, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে, ক্যান্টিনে আড্ডা দিচ্ছি। আর শিক্ষকদের কাছ থেকেও শিখছি। এটি অনেক তৃপ্তি এনে দিয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়, এটি আমাদের জীবনের এক টুকরো গল্প। সেই গল্পটা আবার শুরু হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগে তালা!
প্রসঙ্গত, প্রাণিসম্পদ খাতে বৈষম্য নিরসনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে কম্বাইন্ড ডিগ্রির আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। এর অংশ হিসেবে গত ২৭ জুলাই থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে পশুপালন অনুষদ ভবনে তালা দেন তারা। এতে করে অনুষদের একাডেমিক কার্যক্রম তখন স্থবির হয়ে পড়েছিল।