সাবেক এমপি মোজাম্মেল কারাগারে
জুলাই আন্দোলনে পোশাক শ্রমিক রুবেল হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও শরীয়তপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বি এম মোজাম্মেল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্টোপলিটন মাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, মামলার তদন্তের সময় গোপন সূত্রে জানা গেছে বি এম মোজাম্মেল হক ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মামলার ঘটনার দিন গত ৫ আগস্ট তিনি আদাবর থানা এলাকায় সরকারবিরোধী আন্দোলন দমনের দায়িত্বে ছিলেন। একই দিনে সহিংসতায় গার্মেন্টস কর্মী রুবেলের মৃত্যু ঘটনায় তার সম্পৃক্ত থাকার তথ্যও পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানায়, তাকে গতকাল রবিবার ঢাকার নিকেতন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ৮টি মামলা রয়েছে। তাই মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখা উচিত।
মোজাম্মেল হকের পক্ষে তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। তবে মামলার মূল নথি না থাকায় আদালত তাকে কারাগারে রাখার নির্দেশ দেন। মামলার মূল নথি পাওয়ার পর জামিন সংক্রান্ত শুনানি হবে জানিয়েছেন মোজাম্মেল হকের আইনজীবী লিটন মিয়া।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, জুলাই আন্দোলনের শেষ দিন অর্থাৎ ৫ আগস্ট রুবেলসহ কয়েকশ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ সকাল ১১টার দিকে আদাবরের রিংরোড এলাকায় প্রতিবাদী মিছিল বের করেন। এ সময় পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতীলীগ, কৃষকলীগ ও মৎসজীবী লীগের নেতাকর্মীরা গুলি চালান। গুলিবিদ্ধ রুবেলকে নিকটস্থ একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম ২২ আগস্ট আদাবর থানায় মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি