সনি হত্যায় সাজা খাটা টগর অস্ত্র মামলায় ২ দিনের রিমান্ডে
বুয়েট শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনি হত্যা মামলায় সাজা খাটা মুশফিক উদ্দীন টগরকে অস্ত্র মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। লালবাগ থানায় করা মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ শনিবার ঢাকার মেট্টোপলিটন মাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক তাকে রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন।
লালবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মতিয়ার রহমান বুলবুল আসামির ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। টগরের পক্ষে আইনজীবী মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। পরে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তে মামলার ঘটনার বিষয়ের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামিকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বা আসামিকে নিয়ে অভিযান করলে মামলার আরও তথ্য পাওয়া যাবে। উদ্ধার করা অস্ত্রের তথ্য, তার কাছে আরও অস্ত্র আছে কি না এবং ঘটনার সঙ্গে অন্য কোনো ব্যক্তি জড়িত আছে কি না তা উদঘাটনের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের প্রয়োজন।
এর আগে ঢাকার আজিমপুর এলাকা থেকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর টগরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায় ,লালবাগের আজিমপুরের চায়না বিল্ডিং গলির একটি বাসায়
মুশফিক উদ্দীন টগর মাদক ক্রয়-বিক্রয় করছিল। এ সময় র্যাব ওই বাসার দিকে যায়। পরে র্যব সদস্যরা সাক্ষীদের দিয়ে নিজের দেহ তল্লাশি করে এবং সাক্ষীদের দেহ তল্লাশি করে ওই বাসায় প্রবেশ করে। তিন রুমের ওই ফ্ল্যাটে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করলে টগরকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তার কাছে গুলিসহ অবৈধ রিভলবার রয়েছে। তার দেখানো মতে রুম থেকে একটি বিদেশি রিভলবার, লোহার তৈরি ১টি ম্যাগাজিন, ১টি কাঠের পিস্তলের গ্রিপ, ১টি ৭.৬২ কেএফ মিসফায়ার গুলি, ১৫৫ রাউন্ড .২২ রাইফেলের গুলি, ১টি শর্টগানের খালি কার্তুজ, মানুষের মুখায়বের দুটি মুখোশ ও ২টি মোবাইল জব্দ করা হয়। এরপর অস্ত্র মামলা হয়।
উল্লখ্য, ২০০২ সালের ৮ জুন বুয়েটে দরপত্র নিয়ে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান কেমিকৌশল বিভাগের ৯৯ ব্যাচের ছাত্রী সনি। বুয়েট ছাত্রদল সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খান মুকি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের টগর গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়েছিলেন তিনি। দীর্ঘ আন্দোলনের পর আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। বিচারে নিম্ন আদালতে মুকি, টগর ও নুরুল ইসলাম সাগরের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় আদালত।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি