রাজধানীতে মিছিল /

কলেজ শিক্ষক ও আ. লীগ নেতা কারাগারে

আদালত প্রতিবেদক
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৫২
শেয়ার :
কলেজ শিক্ষক ও আ. লীগ নেতা কারাগারে

‎রাজধানীর তেজগাঁও ও বাংলামটরে আওয়ামী লীগের মিছিলের ঘটনায় পুলিশের করা সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় এক কলেজ শিক্ষক ও এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

‎আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার শুনানি শেষে এই আদেশ দিয়েছেন। 

‎‎তেজগাঁওয়ের মামলায় কারাগারে পাঠানো শিক্ষক তেজগাঁও কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান এবং গাজীপুরের কাশিমপুর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক এস এম আশরাফুল আলম আসকর (৬০)। 

‎আর বাংলামটরের মামলায় কারাগারে পাঠানো আওয়ামী নেতা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় উপকমিটির সদস্য মো. কামরুজ্জামান।

‎‎আসামি আসকরকে তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার এসআই মো. শরিফুল ইসলাম কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

‎‎বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে ফার্মগেট এলাকা থেকে আশরাফুল আলম আসকরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

‎ঝটিকা মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় গত ৭ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাস বিরোধ আইনে মামলা করেন তেজগাঁও থানার এসআই একেএম নিয়াজউদ্দিন মোল্লা।  

‎‎মামলার বিবরণী থেকে জানা যায় , গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরের দিকে রাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন মনিপুরীপাড়াস্থ ২/এ পার্ক টাউন রেস্টুরেন্টের সামনে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ এবং কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যানারসহ মিছিল করে। একপর্যায়ে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল এবং জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে পর পর দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে এবং বাকীরা পালিয়ে যায়।‎

‎আর বাংলামোটরের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা কাকরাইল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই হাফিজুর রহমান আসামি কামরুজ্জামানকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

‎গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে মগবাজার এলাকা থেকে কামরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

‎‎মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ এবং কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও তার সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের সদস্যরা গত ১২ সেপ্টেম্বর বেলা পৌনে ৩টার দিকে রমনা থানার রুপায়ন টাওয়ারের সামনে মিছিল করে। সরকার বিরোধী বিভিন্ন প্রকার শ্লোগান দিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল করা, সরকার তথা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রের ক্ষতি সাধনের লক্ষ্যে অপপ্রচার করছিল তারা। পরে সোয়া ৩টায় ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় কয়েকজনকে সেখান থেকে আটক করা হয়।

‎‎এ ঘটনায় ওইদিনই রমনা মডেল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ।