চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আসা অভিবাসীদের ফ্রান্সে পাঠানোর প্রক্রিয়া ফের ভন্ডুল
সব ঠিকঠাক। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মধ্যে ‘ওয়ান ইন, ওয়ান আউট‘ অর্থাৎ একজন ঢুকলে একজন বের হবে চূক্তির আওতায় ছোট নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আসা অভিবাসীদের জোরপূর্বক ফ্রান্সে ফেরত পাঠানোর প্রথম তারিখ নির্ধারিত হয় সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর)। কিন্তু এ ফ্লাইট ঠেকাতে চ্যারিটি সংস্থাগুলি বেশ তৎপর হয়ে উঠে। তারা অভিবাসীদেরকে না পাঠাতে এয়ার ফান্সের কাছে ফোনের পর ফোন ও টেক্স করতে থাকে এবং প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুমকি দিতে থাকে। তাছাড়া এ ফ্লাইটের কিছু অভিবাসীর শারীরিক সমস্যা ছিল, যেটি চুক্তি অনুযায়ী প্রেরণে পূর্বেই ফ্রান্সেকে জানানোর কথা ছিল। কিন্তু যুক্তরাজ্য তা জানায়নি। এ সব কারণে প্রথম বারের ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়।
এরপর আবার বুধবারে দ্বিতীয় একটি ফ্লাইট প্রেরণের সিডিউল ঘোষণা করা হয়। এ ফ্লাইটের অভিবাসীদের মধ্যে একজন ছিল ইরিত্রিয়ান অভিবাসী। পঁচিশ বছরের এ যুবক তাকে ফ্রান্সে না পাঠানোর বিষয়ে যুক্তরাজ্যের হাইকোর্টে একটি মামলা করেন। তার আইনজীবিরা যুক্তি পেশ করেন যে, তাকে জোরপূর্বক ফ্রান্সে ফেরত পাঠালে তিনি আধুনিক দাসত্বের শিকার হতে পারেন এবং এ বিষয়ে তথ্য প্রমাণ পেশ করার জন্য সময়ের প্রয়োজন। আদালত তাদের যুক্তি গ্রহণ করে ফ্লাইট প্রেরণে অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এভাবে দ্বিতীয় ফ্লাইটটিও বাতিল হয়।
‘ওয়ান ইন, ওয়ান আউট‘ চুক্তিটি এমন একটি চুক্তি যা গত জুলাই মাসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ-এর মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী যারা ছোট নৌকায় করে চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছে আশ্রয় প্রার্থনা করেন এবং যাদের আশ্রয় আবেদন বাতিল হয়েছে বা গ্রহণযোগ্য হয়নি, তাদেরকে ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো হবে। অপরদিকে যুক্তরাজ্য এমন একজনকে গ্রহণ করবে যিনি চ্যানেল পাড় হওয়ার চেষ্টা করেননি এবং যুক্তরাজ্যে তার পরিবারের কোন সদস্য রয়েছে।
আরও পড়ুন:
২৪ দিনে রেমিট্যান্স এল ১৪৯ কোটি ডলার
তবে বাস্তবতা হল, চুক্তির আওতায় এখন পর্যন্ত কাউকে যুক্তরাজ্য থেকে ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো যায়নি।
এখন পর্যন্ত প্রায় ৩১,০২৬ জন অভিবাসী ছোট নৌকায় করে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছে এবং ২০২৫ সালে তা রেকর্ড সংখ্যক পর্যায়ে পৌঁছেছে।