১৭ দিন ধরে অচল বাকৃবি
গত ৩১ আগস্ট বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কম্বাইন্ড (বি.এসসি ইন ভেট অ্যান্ড এএইচ) ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার পর অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি অনুষদ ও একটি ইনস্টিটিউটে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। আজ বুধবার নিয়ে টানা ১৭ দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, শ্রেণিকক্ষের পাঠদান পুনরায় চালুর বিষয়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও তা কোনো ফলপ্রসূ সমাধান হয়নি।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হয়।
কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মঈন বলেন, “কম্বাইন্ড ডিগ্রির আন্দোলনকারীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার পর দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখা অত্যন্ত দুঃখজনক। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবান্ধব পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো গণতান্ত্রিক উপায়ে উপস্থাপন করা যেমন প্রয়োজন, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরও দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও প্রশাসনের দায়িত্ব।’
তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকার কারণে সেশন জটের আশঙ্কা তৈরি হতে পারে, যা ভবিষ্যতে চাকরি জীবনে বিড়ম্বনা সৃষ্টি করবে। আশা করি, প্রশাসন দ্রুত এ সংকটের সমাধান করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম পুনরায় শুরু করবে।’
আরও পড়ুন:
ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগে তালা!
ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী আফছানা মৌ বলেন, ‘করোনার সময় একাডেমিক বিরতির কারণে আমরা এক বছরের বেশি সময় ধরে পিছিয়ে আছি। এর মধ্যে আবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। এভাবে সেশন দীর্ঘ করা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। আমরা দ্রুত শ্রেণিকক্ষে ফিরতে চাই এবং পরীক্ষা দিতে চাই। প্রশাসন যেন দ্রুত এ বিষয়ে সমাধান করে।’
ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক জানান, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার জন্য শিক্ষক ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে। একাডেমিক সেশন জট যাতে তৈরি না হয় এবং কীভাবে দ্রুত সেমিস্টার শেষ করা যায় সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সেমিস্টারের বিড়ম্বনায় পড়ুক। উদ্ভূত সংকট সমাধান করে প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে ইতিবাচক। শিগগিরই একাডেমিক কার্যক্রম চালুর বিষয়ে জানানো হবে।’