জাকসু নির্বাচন /

আরেক নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ

অনলাইন ডেস্ক
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:০৮
শেয়ার :
আরেক নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন কমিশনের সদস্য ড. রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা পদত্যাগ করেছেন। আজ শনিবার দুপুর ২টার দিকে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। 

রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

পদত্যাগপত্রে ড. রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা লিখেছেন, ‘আমি জাকসু নির্বাচন কমিশনের একজন সদস্য। এই কাজ চলাকালীন আমি আকস্মিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি, ফলে কমিশন কার্যালয় থেকে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হই। তাই বিগত বেশকিছু দিনের নির্বাচন কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, যেমন- ব্যালট পেপার, বাজেট চূড়ান্তকরণ ও অমর্ত্য রায়ের ভিপি পদ প্রার্থিতা বাতিল সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমি ওয়াকিবহাল না। এমনকি এ সংক্রান্ত কোনো প্রকার তথ্য আমাকে জানানো হয়নি এবং এত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আমাকে অবগত না করে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনিকভাবে একচ্ছত্র সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।’

‘তথাপি, দায়িত্ব ও কর্তব্যের সূত্র ধরে শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও নির্বাচনের ভোট গণনা পরবর্তী সময়ে আমি উপস্থিত হই এবং অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে আমি একজন নির্বাচন কমিশন সদস্য হিসেবে যথাসাধ্য আমার কর্তব্য পালনের চেষ্টা করি’, যোগ করেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। 

তিনি আরও বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য যে, একটি ভীষণ রকমের দুর্বল প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা, অতিমাত্রার রাজনৈতিক সমীকরণ, এমনকি একজন শিক্ষকের অকাল প্রয়াণ, যিনি কোনোভাবে ভোট গণনার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগই পাননি, তাকেও নির্বাচনের ভোট গণনার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার মিথ্যা অভিযোগ এবং অদৃশ্য চাপ আমাকে এই কমিশনের সদস্য হিসেবে কাজ করতে নৈতিকভাবে বাধাগ্রস্ত করছে।’

অভিযোগ করে ড. রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা বলেন, ‘৩৩ বছরের আকাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি, জাকসু শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব গঠন অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষার্থে তৎপর না হয়ে কেবল রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য যখন ব্যবহৃত হয়, একজন নিরপেক্ষ শিক্ষক হিসেবে ওই কমিশনে সদস্য পদে বহাল থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। অতএব, আপনার নিকট আবেদন এই যে, আমাকে নির্বাচন কমিশন সদস্য পদ হতে অব্যাহতি দিয়ে বাধিত করবেন।’

এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে পদত্যাগ করেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার। জাকসু নির্বাচন চলাকালে আসা অভিযোগের সুরাহা না করে ভোট গণনা চালিয়ে যাওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে জাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ওইদিন ভোট গণনা শুরু হয় রাত সোয়া ১০টায়। টানা তিন দিন ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণার সময় জানায় নির্বাচন কমিশন। এ নির্বাচন নিয়ে নানা নাটকীয় পরিবেশ তৈরি হয়। এর আগে নির্বাচন বয়কট করেছে ছাত্রদলসহ চারটি প্যানেল।