চাকসু নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে শঙ্কিত ছাত্রশিবির
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন কমিশনে অধিকাংশ বিএনপিপন্থী শিক্ষক থাকার অভিযোগ তুলে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে শঙ্কা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে চাকসু নির্বাচন নিয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এমন শঙ্কা জানিয়েছে শাখা ছাত্রশিবির।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের অধিকাংশ সদস্যই সরাসরি একটি বিশেষ দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকাবস্থায় নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে আমরা শঙ্কিত। নির্বাচন কমিশনে দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক জাহিদুর রহমান চৌধুরী যিনি প্রকাশ্যে ছাত্রশিবিরসহ তার মতাদর্শ বিরোধী সকলের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমন একজন শিক্ষক নির্বাচন কমিশনে থাকলে সেই নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ করতে হবে।’
মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে ৬০ শতাংশ সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষক। যেটি গভীরভাবে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে। এ অবস্থায় নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে আমরা আশঙ্কা করছি। নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ করতে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দিয়ে ঢেলে সাজাতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্রশিবির আরও কিছু দাবি জানিয়েছে। দাবিগুলো হচ্ছে - চাকসুর গঠনতন্ত্রে সভাপতি হিসেবে উপাচার্যকে একচ্ছত্র ক্ষমতা দিয়েছে। যা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে পদে পদে বাধাগ্রস্ত করবে। যুগোপযোগী, প্রয়োজনীয় ও ক্যাম্পাসের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক অনেকগুলো সম্পাদক পদ রাখা হয়নি। অধিকন্তু, প্রয়োজন নেই এমন অনেক পদে সহ-সম্পাদক পদ যুক্ত করা হয়েছে। প্রশাসনকে গঠনতন্ত্র সংস্কারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সম্পাদক পদ বৃদ্ধি করতে হবে।
আরও পড়ুন:
গণভবনে ডাক পেলেন আ. লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা
সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন রনি, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ পারভেজ, অর্থ সম্পাদক হাসান মোজাহিদ, প্রচার সম্পাদক ইসহাক ভূঁঞাসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
