ডাকসু নির্বাচনে নতুন সংযোজন এলইডি স্ক্রিন

অনলাইন ডেস্ক
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০৩
শেয়ার :
ডাকসু নির্বাচনে নতুন সংযোজন এলইডি স্ক্রিন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন আগামীকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনের ভোট গণনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে এলইডি স্ক্রিন বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন, যা ডাকসুর ইতিহাসে একটি নতুন সংযোজন।

 গতকাল রবিবার রাতে ডাকসু নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 এতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর ভোট গণনা প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে সরাসরি প্রদর্শন করা হবে।

এদিকে উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হয়েছে প্রার্থীদের প্রচারণা। গতকাল ছিল প্রচারণার শেষ দিন। আচরণবিধির ৪(খ) ধারা অনুযায়ী, ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার পর থেকে সব ধরনের প্রচারণা বন্ধ থাকবে।

অন্য একটি বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন কমিশন বলেছে, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটাররা ব্যাগ, মোবাইল ফোন, স্মার্ট ওয়াচ, যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, পানির বোতল ও তরল কোনো পদার্থ নিয়ে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে। ক্যাম্পাসের ৮টি কেন্দ্রে ভোট দিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। নির্বাচনে একজন ভোটারকে মোট ৪১টি ভোট দিতে হবে। কেন্দ্রীয় সংসদে ২৮টি ও হল সংসদে ১৩টি পদে।

 এবার ডাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ভোট ১৮ হাজার ৯৫৯ ও ছাত্র ২০ হাজার ৯১৫ জন।

 প্রসঙ্গত, এবার ডাকসু নির্বাচনে ২৮ পদের বিপরীতে লড়ছেন মোট ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে পুরুষ প্রার্থী ৪০৯ জন ও নারী প্রার্থী ৬২ জন। তবে বিভিন্ন পদের মধ্যে মূল আকর্ষণ সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ১৯ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ২৫ ও মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন প্রার্থী লড়ছেন।

 এর বাইরে কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১৯ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক ১১ জন এবং ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে ১৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

এ ছাড়া ১৩টি সদস্য পদের বিপরীতে সর্বোচ্চ ২১৭ জন লড়ছেন।