প্লট দুর্নীতির ৩ মামলা /
আরও ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিকদের প্লট দুর্নীতি তিন মামলায় আরও পাঁচজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
সাক্ষীরা হলেন-গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়েরর অফিস সহকারি দেলোয়ার হোসেন ও শফিকুল ইসলাম, এনবিআরের কর অঞ্চল-৬ এর প্রধান সহকারী মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর রেজাউল হক এবং নোটিশ সার্ভার মো. আবু তাহের।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ মো. রবিউল আলম এ সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এ নিয়ে মামলাগুলোতে ৯ জন করে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো।
এদিকে মামলাগুলোতে শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে চার আইনজীবীর আবেদন নাকচ করেছেন একই আদালত। আইনজীবীরা হলেন- মোরশেদ হোসেন শাহীন, ইমরান হোসেন, শেখ ফরিদ ও মো. তপু।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি
বৃহস্পতিবারই আইনজীবীরা আবেদন করেন। কিন্তু শেখ হাসিনা পলাতক থাকায় আদালত আবেদন নাকচ করেছেন বলে জানিয়েছেন দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী ছালাম।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানাসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা করে দুদক।
মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।
সম্প্রতি সবগুলো মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
এর ৩ মামলার প্রত্যেকটিতে মামলায় চারজন করে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। গত ১৩ অগাস্ট তিন মামলায় বাদীগণ সাক্ষ্য দেন।
মামলার চার্জশিটে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩নং রাস্তার ছয়টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।