ঢাবির বহিষ্কৃত ছাত্র আলী হুসেনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পায়নি তদন্ত কমিটি
ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া এক নারী প্রার্থীকে গণধর্ষণের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আলী হুসেনকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে বহিষ্কৃত এ ছাত্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ পায়নি।
আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্যগুলো জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রক্টরিয়াল সত্যানুসন্ধান কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডার অনুযায়ী প্রক্টরের এখতিয়ারভুক্ত সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আবাসিক ছাত্র। পাশাপাশি অভিযোগটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিষয়ক কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে সত্যানুসন্ধান তদন্ত কমিটির সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন ভূঁইয়া বলেন, ‘আলী হুসেন কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে আমরা প্রমাণ পাইনি। সে নিজেও স্বীকারোক্তিতে বলেছে তার রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই। এর বাইরে এমন কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি, যা দিয়ে তাকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে মনে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আলী হুসেনের দু-একটি ছবি যেগুলো দিয়ে তাকে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট বলে অভিযোগ করা হয় সেগুলো সম্পর্কে সে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এ ছাড়া কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাসটি আকস্মিক ক্ষোভে দিয়ে ফেলেছেন বলে সে ক্ষমাও চেয়েছেন।’
উল্লেখ্য, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে অপরাজেয় ৭১–অদম্য ২৪ প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলমকে গণধর্ষণের হুমকি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন আলী হুসেন। এই ঘটনায় সমালোচনার ঝড় ওঠে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।