কোষাধ্যক্ষ ও হোয়াইট হাউজে তালা খুলেছে , তবে ঝুলছে প্রশাসনিক ভবনে

বাকৃবি প্রতিনিধি
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:৫৩
শেয়ার :
কোষাধ্যক্ষ ও হোয়াইট হাউজে তালা খুলেছে , তবে ঝুলছে প্রশাসনিক ভবনে

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের প্রতিনিধি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। এ সময় শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি, হল ত্যাগের নির্দেশ প্রত্যাহার এবং আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে যেন কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া না হয় এসব বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। এই আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ইতিবাচক আশ্বাস পাওয়ার পর কোষাধ্যক্ষ ভবন ও হোয়াইট হাউজের তালা খুলে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তবে প্রশাসনিক ভবনে এখনো তালা ঝুলছে।

আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জনভোগান্তির কথা বিবেচনা করে কোষাধ্যক্ষ ভবন ও হোয়াইট হাউজের তালা খোলা দেন শিক্ষার্থীরা । বর্তমানে এসব ভবনে স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম চলছে। তবে আলোচনায় এখন পর্যন্ত একক কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি।

আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী শিবলী জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কারো যেন ভোগান্তি না হয় সেই জন্য আমরা কোষাধ্যক্ষ ভবন ও হোয়াইট হাউজের তালা খুলে দিয়েছি। সবার ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনা করেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে প্রশাসনিক ভবনে এখনও তালা ঝুলছে। শিক্ষকরা তাদের মতো করে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।’

আন্দোলনকারী আরেক শিক্ষার্থী এহসানুল হক হিমেল জানান,‘গতকাল সাড়ে ৪ ঘণ্টার মতো আমরা শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আলোচনায় হল ত্যাগের নির্দেশ প্রত্যাহার এবং ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে একাডেমিক ও প্রশাসনিক হয়রানির কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার বিষয়ে কথা হয়েছে। উপাচার্য আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। এ বিষয়ে আমরা একটি লিখিত চেয়েছি। সেটি হাতে পাওয়ার পর আমরা আবারও আলোচনায় বসব।’

তিনি আরও জানান, ‘আলোচনায় একক কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়ে কোনো সমাধান আসেনি। আমরা আমাদের দাবিতে এখনও অনড়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুর ও হামলার বিষয়ে যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, সেই কমিটি পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছি। এছাড়া বহিরাগতদের শাস্তি এবং ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীরা যেন কোনো ধরনের হেনস্তার শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।’

আন্দোলনের বিষয়ে এহসানুল হক হিমেল জানান,‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্বাইন্ড ডিগ্রি না থাকার কারণে যুগের পর যুগ ধরে দ্বন্দ্ব লেগে আছে। এর পাশাপাশি আমাদের চাকরির বাজারও সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্যই আমরা যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।’