মান ভেঙে ‎জামিন আবেদন লতিফ সিদ্দিকীর, দুপুরে শুনানি

আদালত প্রতিবেদক
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০৬
শেয়ার :
মান ভেঙে ‎জামিন আবেদন লতিফ সিদ্দিকীর, দুপুরে শুনানি

‎মান-অভিমান ভেঙে অবশেষে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীসহ ৭ জন জামিন আবেদন করেছেন। ‎‎ঢাকার শাহবাগ থানার সন্ত্রাস বিরোধ আইনের এই মামলায় তাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কায়েস আহমেদ অর্নব এ জামিনের আবেদন দাখিল করেছেন।

আজ বুধবার দুপুরে ঢাকার চীফ মেট্টোপলিটন মাজিস্ট্রেট আদালতে এর উপর শুনানি হবে। 

‎‎জামিন চাওয়া অন্যরা হলেন- গোলাম মোস্তফা, জাকির হোসেন, মো. তৌছিফুল বারী খাঁন, আমির হোসেন সুমন, মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, ‎আব্দুল্লাহীল কাইউম।

‎এর আগে গত ২৮ আগস্ট লতিফ সিদ্দিকীকে এই মামলায় আদালতে উপস্থাপন করা হলে তিনি জামিন চাইবেন না মর্মে জানান এবং আইনজীবীকে ওকালতনামায় স্বাক্ষর দিতে অস্বীকার করেন। ফলে সেদিন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

‎‎মামলার বিবরণী অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার গভীর ষড়যন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি বন্ধের লক্ষ্যে গত ৫ অগাস্ট ‘মঞ্চ ৭১’ নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এ সংগঠনের উদ্দেশ্য জাতির অর্জনকে মুছে ফেলার সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আত্মত্যাগের প্রস্তুতি নেওয়া। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত ২৮ আগস্ট সকাল ১০টায় একটি গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সকাল ১১টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর মধ্যেই এক দল ব্যক্তি হট্টগোল করে স্লোগান দিয়ে সভাস্থলে ঢুকে পড়েন। একপর্যায়ে তারা অনুষ্ঠানস্থলের দরজা বন্ধ করে দেন। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া কয়েকজনকে লাঞ্ছিতও করেন। হট্টগোলকারীরা গোলটেবিল আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন এবং আলোচনায় অংশ নেওয়াদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। একপর্যায়ে অতিথিদের অনেককেই বের করে দেওয়া হলেও আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এবং অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমানকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। পরে পুলিশ এসে ১৬ জনকে আটক করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করেন এসআই আমিরুল ইসলাম। পরবর্তীতে এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

‎মামলায় ‎অপর আসামিরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন), সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্না, কাজী এটিএম আনিসুর রহমান বুলবুল,মো. মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু, মো. আল আমিন, মো. নাজমুল আহসান, সৈয়দ শাহেদ হাসান, দেওয়ান মোহম্মদ আলী এবং মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন।