বাকৃবিতে ব্যাংক ও কোষাধ্যক্ষ ভবনে তালা, ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ

বাকৃবি প্রতিনিধি
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:৪৫
শেয়ার :
বাকৃবিতে ব্যাংক ও কোষাধ্যক্ষ ভবনে তালা, ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রেললাইন অবরোধের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত পূবালী ব্যাংক ক্যাম্পাস শাখা ও কোষাধ্যক্ষ ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে রেললাইন অবরোধ শেষে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে পূবালী ব্যাংক ক্যাম্পাস শাখার সামনে এসে জড়ো হন। পরে তারা ব্যাংকের মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। 

এর আগে শিক্ষার্থীরা ব্যাংক কর্মকর্তাদের ব্যাংকের সব কার্যক্রম বন্ধ করে বের হয়ে যেতে সময় বেধে দেন। পাশাপাশি তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ভবনেও তালা ঝুলিয়ে দেন।

আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সিয়াম জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ থাকায় পূবালী ব্যাংকেও অনির্দিষ্টকালের জন্য তালা দেওয়া হয়েছে । আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এটি বন্ধ থাকবে।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া নারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের ওপর বহিরাগতরা হামলা চালিয়েছে। অথচ শিক্ষকরা তাদের কোনো বিচার না করে বরং আমাদের হল ছাড়তে বলছেন। আমাদের ৬ দফা দাবিকেও তাচ্ছিল্য করা হচ্ছে। শিক্ষকদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আশ্বাস পাইনি যে তারা আমরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। বহিরাগতদের হামলায় অনেকেই আহত হয়েছে, তবুও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। মূলত আমাদের এই যৌক্তিক আন্দোলন বন্ধ করতেই তাদের এসব পদক্ষেপ। আমরা ক্লাসে ফিরতে চাই, পরীক্ষায় বসতে চাই। প্রশাসন দ্রুত বিষয়টি সমাধান করুক।’

বাকৃবির অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ূন কবির জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন চাকরি করার পর অবসরে যান। তারা নিয়মিত পেনশন পান। এই পেনশনের টাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি খামার ও ফার্মের কর্মচারীদের বেতনসহ নানা খাতে অর্থ ব্যয় হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগের গবেষণার কাজেও ২৪ ঘণ্টা অর্থনৈতিক সাপোর্ট দিতে হয়। অর্থাৎ অর্থ সেকশনের দায়িত্ব অন্যান্য ১০টি সেকশনের মতো নয়। যদি পেনশনভোগীরা বেতন না পান, তবে তাদের কী দুরাবস্থা হবে তা সহজেই অনুমান করা যায়।

পূবালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. গোলাম রব্বানী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির কারণে আমরা ব্যাংক বন্ধ রেখেছি। কিন্তু ব্যাংক তো দীর্ঘদিন বন্ধ রাখা যায় না। আপাতত বন্ধ থাকবে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার খোলা হবে। আমাদের গ্রাহকরা মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী। অনলাইন সুবিধা থাকায় চাইলে তারা শহর থেকে ব্যাংকিং লেনদেন করতে পারবেন।’