৬ দফা দাবি /
আবারও বাকৃবি শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এই দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোনো সদুত্তর না পাওয়ায় ঢাকা–ময়মনসিংহগামী রেল লাইন অবরোধ করেন তারা।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় শিক্ষার্থীরা গুচ্ছ গুচ্ছ মিছিল নিয়ে আব্দুল মোড়সংলগ্ন রেললাইনে জমায়েত হতে থাকেন। পরে শিক্ষার্থীরা রেললাইনে ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তার দুই পাশের যান চলাচল বন্ধ করে দেন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীরা ঢাকা–ময়মনসিংহগামী রেললাইনে বসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। ফলে ঢাকা–ময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী এহসানুল হক বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিবিরুল ইসলামের মুঠোফোনে কথা হয়েছে। তিনি মূলত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছেন। তিনি জানতে চেয়েছেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসব কি না। মূলত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার মাধ্যমে তারা আলোচনার পথ বন্ধ করেছেন। তবে যদি আলোচনায় বসতেই হয়, তাহলে আমাদের ৬ দফার প্রথম দাবি মানতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যেসব শিক্ষক আমাদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত আছেন, তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসব না। ওই শিক্ষকদের বাদ দিয়ে আলোচনা করতে হবে। পাশাপাশি আন্দোলন নিয়ে শিক্ষকদের মনোভাব সব শিক্ষার্থীর সামনে প্রকাশ করতে হবে। অন্যথায় আমরা আলোচনায় বসব না।’
গতকাল দুপুর ১২টায় শিক্ষার্থীরা এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের ৬ দাবিগুলো উত্থাপন করেন। তাদের দাবিগুলো হলো-
১ অবৈধভাবে হল শূন্য করার নির্দেশনা প্রত্যাহার করতে হবে।
২ হলগুলোতে চলমান সব ধরনের সুবিধা নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে হবে।
আরও পড়ুন:
ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগে তালা!
৩. এই প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর শিক্ষকদের মদদে বহিরাগত দিয়ে হামলার দায়ে প্রক্টরিয়াল বডিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে।
৪. বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দ্বারা ককটেল বিস্ফোরণ, লাইব্রেরি ও স্থাপনা ভাঙচুর এবং দেশীয় অস্ত্র দ্বারা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্থার ঘটনার জন্য উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে ।
৫. হামলায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের যেমন, কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার, কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন হাওলাদার, কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড শরীফ আর রাফি, কৃষি অনুষদের কামরুজ্জামান, পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. বজলুর রহমান মোল্লা এবং পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মুনির হোসেন, ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশিকুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৬. গত ১ মাস ধরে চলমান যে একক কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলন করে আসছি, সেই একক ডিগ্রি অবিলম্বে প্রদান করতে হবে। তিনটি ভিন্ন ডিগ্রির প্রস্তাব হিসাবে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।